সমাজসেবায় মিমি চক্রবর্তী

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
মিমি চক্রবর্তী
লোকসভা নির্বাচনের আগেই এলাকার জনগণের সেবা করার জোর প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসেবামূলক কর্মসূচি 'দিদিকে বলো'। সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকড় রয়ে যাচ্ছে কি-না, ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে কি-না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে রাজ্য সরকার। এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দলের একাধিক নেতাকর্মী। বাদ যাননি তৃণমূলের নবনির্বাচিত তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিজের সংসদীয় এলাকা পরিদর্শনে যান যাদবপুরের সাংসদ মিমি। এলাকা পরিদর্শনের সঙ্গে সেখানকার মানুষের কাছে গিয়ে তাদের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। আর এর পাশাপাশি 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির প্রচারও সেরে নেন এদিন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ। ঘটকপুকুরের নলমুড়ি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মিমি। তাদের কী কী সমস্যা রয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কোনোরকম অসুবিধা হলেই যেন 'দিদিকে বলো' পরিষেবায় উলেস্নখ করা নম্বরে যোগাযোগ করেন, সে কথাও উলেস্নখ করেছেন। এছাড়া বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঘটকপুর এলাকার বাসিন্দাদের হাতে হাতে 'দিদিকে বলো' কার্ড বিলি করেন। রাজ্যের অন্যান্য তৃণমূল নেতা-আমলাদের সঙ্গে জনসংযোগের নয়া কৌশল নিয়ে মিমিও যে দলীয় কাজকর্মে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন, তারই ঝলক মিলল এদিন। তবে রাজনৈতিক কাজকর্ম এবং দলীয় কর্মসূচির প্রচারের পাশাপাশি নজর কাড়ে এক অন্যরকম মুহূর্ত। নলমুড়ি হাসপাতালে এক সদ্যজাতককে কোলে নেন সাংসদ। রোগীদের খাবার-দাবার ঠিকঠাক পরিচ্ছন্নতা মেনে দেয়া হচ্ছে কি-না খোঁজ নেন, এসবের মাধ্যমেই রোগীদের মন কেড়ে নেন তৃণমূলের এ তরুণ নেত্রী। উলেস্নখ্য, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলসহ রাজ্যের ১৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু কেন এমন হলো? উত্তর খুঁজতে এবার জনসংযোগ আরও নিবিড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঘোষণা, আগামী ১০০ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১০ হাজারেও বেশি গ্রামে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, এমনকি এলাকায় দলের কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন তারা। প্রয়োজনে বুথকর্মীদের খাওয়া-দাওয়া ও গ্রামেই কারও বাড়িতে রাত্রিবাসও করবেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। তবে নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানানোর জন্য সাধারণ মানুষকে যে স্রেফ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে, তা কিন্তু নয়। চাইলে যে কেউ ফোন নম্বর কিংবা ওয়েবসাইট মারফত খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। আর এ কর্মসূচিরই নাম দেয়া হয়েছে 'দিদিকে বলো'।