সাক্ষাৎকার

ঈদে অস্থিরতার ভিড়ে ভালো নাটকগুলো হারিয়ে যায়

টিভি অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। এবারের ঈদে একাধিক ধারাবাহিক নাটক ছাড়াও তাকে দেখা যাবে বেশ কয়েকটি খন্ডনাটকে। এছাড়া ঈদে টিভি চ্যানেলের কয়েকটি বিশেষ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ঈদের ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফারজানা ছবি
ঈদের ছুটি... অভিনয়ের পাশাপাশি পরিবারেও সময় দিতে হয়। আমার ছোট ছোট দুই সন্তান ও স্বামী রয়েছে। তাই সারা বছর আমি অনেক কাজ করতে পারি না। বেছে বেছে কাজ করি। তবে কোনোটাই আমি ছাড়িনি। কারণ জীবন একটাই। এক জীবনে সবকিছুই ব্যালেন্স করে চলতে হবে। ঈদের নাটকের শুটিং শেষ করেছি। গতকাল (শুক্রবার) থেকে আপাতত ঈদের ছুটি। বরাবরের মতো এবারও ঢাকাতেই ঈদ করব। আমার ভাইবোন ও আত্মীয়-স্বজনরা প্রায় সবাই ঢাকাতেই থাকেন। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় একুশে টিভিতে 'একুশের সকাল' অনুষ্ঠানে লাইভে থাকব। এখানে ঈদ নিয়েই কথা হবে। ঈদের নাটকে... এবারের ঈদে দুটি ৭ পর্বের ধারাবাহিক ও কয়েকটি খন্ডনাটক করেছি। দুটি ধারাবাহিকের একটি এসএম শাহিনের পরিচালনায় 'মফিজের লাইফ স্টাইল' প্রচারিত হবে বৈশাখীতে। অন্যটি ম ম রুবেলের রচনা ও সাজু আহসানের পরিচালনায় 'জাল ভেজাল' প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়। এছাড়া সানোয়ার সুমনের 'কয়লা', অরণ্য আনোয়ারের 'মেইড ইন রয়েল ডিট্রিক্ট'সহ কয়েকটি খন্ডনাটকে কাজ করেছি। এ মুহূর্তে সবগুলোর নাম মনে পড়ছে না। ব্যতিক্রম গল্প ও চরিত্র... প্রতিটি নাটকের গল্প ও চরিত্র ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। 'মফিজের লাইফ স্টাইল' নাটকে আমি ফজলুর রহমান বাবুর প্রথম স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। মফিজের একাধিক বউ থাকে, তাদের দিয়ে অর্থ উপার্জন করে নিজের মতো জীবন চালায়। 'কয়লা' নাটকে বউ-শাশুড়ির গভীর সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। 'মেইড ইন রয়েল ডিট্রিক্ট' নাটকে একটি জেলার গুরুত্ব দেখানো হয়েছে। এ নাটকে নোয়াখালীর ভাষার ব্যবহার হয়েছে। ঈদের নাটক দেখা... আমরা যারা পেশাদার শিল্পী, সারা বছর শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় সামাজিকতা করতে পারি না। ঈদের এই সময়টাতে আত্মীয়-স্বজনদের সময় দিতে চেষ্টা করি। তাই ঈদের নাটক কম দেখা হয়। যেমন হয় ঈদের নাটক... ঈদের নাটকে অস্থিরতা বেশি। ঈদের নাটক মানে দর্শকদের হাসাতে হবে এমন একটা নিয়ম চলছে। অনেক বেশি কমেডি করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। দর্শকরা বিরক্ত হন। তবে কিছু কিছু নাটক অবশ্যই ভালো হয়। কিন্তু প্রচুর অস্থিরতার ভিড়ে ভালো নাটকগুলো হারিয়ে যায়। আরেকটি বিষয় হলো অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা। দর্শক ভালো নাটক দেখতে বসলেও বিজ্ঞাপনের কারণে চ্যানেল পরিবর্তনে বাধ্য হন। এতে ওই নাটক থেকে দর্শকের মনোযোগ সরে যায়। ভুলে যান কোথায় ছিলেন, কি দেখছিলেন। দেখা যাচ্ছে ভালো নাটক করলেও তা আলোচনায় আসছে না। আবার হালকা মেজাজের নাটক করলেও সেটা আলোচনায় আসে।