উচ্ছ্বাসে ভাসছেন জয়া আহসান

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জয়া আহসান
বিনোদন রিপোর্ট বাংলাদেশ-ভারতে সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অসাধারণ অভিনয় গুণ দিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করে যেমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। তেমনি তার অভিনীত ভারতীয় ছবিও জিতে নিয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জয়া আহসান অভিনীত ভারতীয় বাংলা ছবি 'এক যে ছিল রাজা', জিতে নিয়েছে ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। নিজের অভিনীত ছবি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তিতে শনিবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গেল জয়ার সেই উচ্ছ্বাস! তবে শুধু তার অভিনীত ছবি সেরা হয়েছে সেজন্যই তার এই উচ্ছ্বাস নয়, বরং ছবিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্মিত বলেই আরও বেশি উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত 'এক যে ছিল রাজা' এ বছর সেরা বাংলা ছবি হিসেবে ভারতের ৬৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। দুটো কারণে এটি আমার কাছে এক বিরাট আনন্দের খবর হয়ে এসেছে। ২০১৭ সালে এ পুরস্কার পেয়েছিল কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত 'বিসর্জন'। আমি সে ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্রে ছিলাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বিসর্জন ও এক যে ছিলো রাজা- এই দুটি ছবির প্রেক্ষাপটই বাংলাদেশ। বিষয়টি জানিয়ে জয়া বলেন, বিসর্জনের পর এ বছরের পুরস্কৃত ছবি 'এক যে ছিল রাজা ছবি'তেও আমি অভিনয় করেছি। দ্বিতীয় আনন্দের বিষয় হলো, এ ছবির প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ভাওয়াল অঞ্চল। গবেষক দলের অংশ হিসেবে ছবিটিতে ভাওয়ালের স্থানীয় বাংলা উচ্চারণের ভঙ্গিমা নিয়ে আসার কাজটিতে আমি যুক্ত ছিলাম। কাকতালীয়ভাবে দুটো ছবির প্রেক্ষাপটই যে বাংলাদেশ, এটি আমার আনন্দের মাত্রা পূর্ণতর করেছে। ঐতিহাসিক ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে 'এক যে ছিল রাজা' ছবিটি নির্মিত। গত বছরের দুর্গা পূজায় ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ভারতে। 'এসভিএফ ফিল্মস'-এর ব্যানারে তৈরি হওয়া এই ছবির মূল চরিত্র রাজকুমার রমেন্দ্রনারায়ণ রায়ের ভূমিকায় আছেন যিশু সেনগুপ্ত। ভাওয়াল রাজার বোনের চরিত্রে আছেন জয়া। ভাওয়ালের জমিদারের বর্ণাঢ্য জীবনের সমাপ্তি হয় মাত্র ২৫ বছর বয়সে এক বিশেষ অসুখে। সে সময় তার সৎকারও করা হয়। কিন্তু ১২ বছর পর তিনি আবারও ফিরে এলে শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে লড়াই আর সেই মামলা চলে ১৬ বছর ধরে।