সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দুই কিংবদন্তির মৃতু্যবার্ষিকী আজ বিনোদন রিপোর্ট নায়করাজ রাজ্জাক ও নাট্যব্যক্তিত্ব আব্দুলস্নাহ আল মামুন। একজন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যজন মঞ্চ ও টিভি নাটকের। দুজনেই ছিলেন দুই অঙ্গনের উজ্জ্বল তারকা। আলো ছড়িয়েছেন নিজ নিজ অঙ্গনে। আজ ২১ আগস্ট এই দুই কিংবদন্তির মৃতু্যবার্ষিকী। ২০১৭ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃতু্যবরণ করেন চলচ্চিত্রর প্রাণপুরুষ নায়ক রাজ্জাক। দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০৮ সালের একই দিনে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন নাট্যামোদী মানুষের প্রিয় ব্যক্তি আব্দুলস্নাহ আল মামুন। বছর ঘুরে এই দিনটি চলে আসে সবার মাঝে। কিন্তু কজনাই বা মনে রাখেন তাদের। নীরবে এসে নীরবেই চলে যায় সারাটা দিন। তাদের নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন হয় না এই দিনে। বড় আয়োজনে হয় না কোনো মৃতু্যবার্ষিকী। মৃতু্যর পর কয়েক বছর বেশ ঘটা করে আব্দুলস্নাহ আল মামুনের মৃতু্যবার্ষিকী পালিত হলেও এ বছর তেমন কোনো আয়োজন নেই। একসময় শিল্পকলায় নাট্যোৎসবের মাধ্যমে আব্দুলস্নাহ আল মামুনকে স্মরণ করলেও এখন নজরে পড়ার মতো আয়োজন হয় না। একইভাবে নায়ক রাজ্জাকের মৃতু্যবাষিকী নিয়েও তেমন কোনো আয়োজন নেই এবার। গত বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও তার পরিবার থেকে কেউ আসেনি। চলচ্চিত্রের নানা সংগঠন সচল থাকলেও নায়ক রাজের মৃতু্যবার্ষিকী নিয়ে যেন কারো করার কিছু নেই। উলেস্নখ্য, রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আকবর হোসেন ও মাতার নাম নিসারুননেছা। ১৯৬৪ সালের কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হলে এক রাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এবং পরের দিন ২৬ এপ্রিল স্ত্রী ও পুত্র বাপ্পারাজকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। আব্দুলস্নাহ আল মামুন ১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরে আমড়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। আব্দুলস্নাহ আল মামুন তার পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জমে উঠেছে মীর সাব্বিরের ইউটিউব চ্যানেল বিনোদন রিপোর্ট অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা মীর সাব্বির এবার নিজের নামেই ইউটিউব চ্যানেলে খুললেন। গত ১১ আগস্ট 'মীর সাব্বির' নামের ইউটিউব চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয় মীর সাব্বিরের একটি স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। অতঃপর সেদিনই তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয় ঈদের বিশেষ নাটক 'বাপ বেটার কাপল টিকিট'। বরিশালের ভাষায় নির্মিত এ নাটকটি নির্মাণ করেছেন মীর সাব্বির। রচনাও করেছেন তিনি। নাটকটিতে বাপ-বেটার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির ও জামিল আহম্মেদ। আরও রয়েছেন তানজিকা আমিন, শফিক খান দিলু, ওয়ালিউল হক রুমী প্রমুখ। এরই মধ্যে নাটকটি ১১ লাখের বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। নিজের নামে ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ এবং নিজের চ্যানেলে নিজের নির্দেশিত নাটকের প্রতি দর্শকের আগ্রহ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত মীর সাব্বির। মীর সাব্বির বলেন, 'সত্যি বলতে কী অনেক গল্প, অনেক ভাবনা নিয়ে নাটক নির্মাণের ইচ্ছে থাকে। কিন্তু নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে সেগুলো আর নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। এছাড়াও আমার নিজের মতো করে কিছু কাজ করারও ইচ্ছে ছিল বহুদিন ধরেই। নিজের মতো করে নাটকে মতপ্রকাশেরও সুযোগ থাকবে এখন আমার ইউটিউব চ্যানেলে। আমি দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ইউটিউব চ্যানেলটি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমার অভিনীত নাটক উপভোগ করছেন। সত্যি বলতে কী আমি, আমরাতো শ্রম দেই দর্শকের জন্যই। দর্শকের ভালো লাগার মধ্যেই আমাদের নিজের সফলতা খুঁজে পাই। দর্শকের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে আপনারা মীর সাব্বির ইউটিউব চ্যানেলটির সাথে থাকবেন। আমি চেষ্টা করব ভালো ভালো গল্পের নাটক দর্শককে উপহার দিতে।'