এ্যান্ডু্র কিশোরকে চিকিৎসার জন্য দশ লাখ টাকার অনুদান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
এ্যান্ডু্র কিশোরের হাতে দশ লাখ টাকার চেক তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
'পেস্নব্যাক সম্রাট'খ্যাত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এ্যান্ডু্র কিশোরকে চিকিৎসার জন্য দশ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ শিল্পীর হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন এ্যান্ডু্র কিশোর। চিকিৎসার টাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছিলেন এই তারকা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণভবনে তার কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। যাওয়ার আগে এ্যান্ডু্র কিশোর বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।' এদিকে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নেয়া এই অনুদান নিয়ে সংগীতাঙ্গনে দেখা দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন অনেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সংগীতশিল্পী জানান, এটা আমাদের শিল্পী সমাজের জন্য লজ্জা ও অপমানকর। তিনি বাংলাদেশের পেস্নব্যাক সম্রাট হিসেবে স্বীকৃত। শুরু থেকেই দু'হাত দিয়ে টাকা উপার্জন করে আসছেন। তিনিই একমাত্র শিল্পী, যিনি কোনো সিনিয়র-জুনিয়র এমনকি নতুনদের সঙ্গে গান করতে কখনোই দ্বিধা করেননি, টাকা পেলে যে কারো সঙ্গে গান গাইতেন তিনি। তাছাড়া তিনি তো কেবল গায়কই নন, একজন ব্যবসায়ীও বটে। বেশ কয়েকটি বাড়িও রয়েছে তার। এতকিছুর পরও চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভিখিরির মতো হাত পাতার ঘটনা শিল্পী সমাজের কলঙ্ক। অন্তত এ্যান্ডু্র কিশোরের কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি। এ্যান্ডু্র কিশোর বাংলাদেশের সংগীত জগতের অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে চলা এ্যান্ডু্র কিশোর প্রাথমিকভাবে আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে সংগীতের পাঠ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধকসহ প্রায় সব ধারার গানে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হন। তার চলচ্চিত্রে পেস্নব্যাকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের 'অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ' গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের 'ধুম ধারাক্কা'। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিজ্ঞা চলচ্চিত্রের 'এক চোর যায় চলে' গার্নেলমাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।