সাক্ষাৎকার

চলচ্চিত্রই আমার ঘর-বাড়ি

চলচ্চিত্রের সিনিয়র অভিনেত্রী সুচরিতা। সত্তর-আশির দশকে নায়িকা হিসেবে অসংখ্য সফল ছবি উপহার দেয়া এই অভিনেত্রী বর্তমানে মা কিংবা ভাবির চরিত্রেও তার দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছেন। আগের মতো ব্যস্ততা না থাকলেও চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ তার। চলমান ব্যস্ততা ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বর্তমানে... অভিনয়কে ঘিরেই তো আমার সকল ব্যস্ততা। আমি পুরোদস্তুর চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রই আমার ঘর-বাড়ি। অভিনয়কে নেশা এবং পেশা হিসেবে নিয়েছি সেই ছোটবেলা থেকে। কিন্তু বর্তমানে কাজের পরিবেশ যেমন থমকে গেছে, তেমনি থেমে গেছে কাজের পরিধিও। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই কাজ করে চলেছি। তবে বেশিরভাগ চলচ্চিত্রে আমি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছি। আমি নিজেও একজন মা। নিজেকে একজন মা হিসেবে উপস্থাপন করতে গর্ববোধ করি। সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রের বাকি অংশের শুটিং শুরু করছি। চলচ্চিত্রের নাম 'আমার মা আমার বেহেস্ত'। আমার ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। এছাড়া আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই। এখনকার সিনেমা... এখন তো তেমন কোনো ভালো গল্পের কাজ নেই। ভালো কিংবা যুতসই কোনো গল্পই নেই বলা চলে। তাই একটু আড়ালে রেখেছি নিজেকে। আমি সব সময়ই ভালো কাজের সঙ্গে ছিলাম আর ভবিষ্যতেও ভালো কাজের সঙ্গেই থাকব। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দর্শকদের চাহিদার পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু পরিবেশে স্বস্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নেই। পরিবার ও পরিজন... আমার তিন ছেলে-মেয়ে। তারা বলে- মা তুমি এত বিখ্যাত বিখ্যাত সিনেমা করেছ! বড় ছেলে পড়াশোনা শেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে চাকরি করছে। মেজ মেয়ে মালয়েশিয়াতে সদ্য জার্নালিজমে স্নাতকোত্তর শেষ করেছে। ছোট মেয়ে এবার 'ও লেভেল' দেবে। আমার খুব ভালো লাগে, আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করে। নতুনদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা... ইদানিং দেখা যায় নতুনরা এসেই না নিজের চুল, মেকআপ, খাওয়া নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। শুটিং শুরু হতে না হতেই সেলফি, ফেসবুকসহ আরও কত কি! আবার কেউ কেউ আছেন যারা কিনা চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করার আগেই প্রযোজক নিয়ে লাপাত্তা। তবে চলচ্চিত্রে সিনিয়র আর জুনিয়রটা আমরা এখনও খুব খেয়াল করি। কে সিনিয়র পাশে আছে সেগুলো আর তাদের চোখে পড়ে না। আর দেখা যায় অনেকেই আমাদের রেখে তাদেরকেই বেশি করে প্রাধান্য দিচ্ছে। তখন না নিজের কাছে অনেক কষ্ট লাগে। চলচ্চিত্রে প্রাপ্তি... চলচ্চিত্রই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, আশীর্বাদ। এই চলচ্চিত্রই আমাকে সুচরিতা বানিয়েছে। নাম-যশ-খ্যাতি এনে দিয়েছে। চলচ্চিত্র প্রেমিরা এখনও আমাকে তাদের হৃদয়ে ধারণ করে রেখেছেন। তাদের ভালোবাসায় আজও আমি চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছি। এটাই পরম পাওয়া। যতদিন বেঁচে আছি সবার ভালোবাসা নিয়ে আরও ভালো ভালো গল্পের কাজ করে যেতে চাই।