সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আজীবন সম্মাননা পেলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার বিনোদন রিপোর্ট উপমহাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গীতিকবি, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনিকার, পরিবেশক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করল ইন্টারন্যাশনাল রোটারি ক্লাব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর রিজেন্সিতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে এই সম্মাননা প্রদান বরা হয়। আন্তর্জাতিক এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়া প্রসঙ্গে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, 'যে কোনো পুরস্কার প্রাপ্তিতে একটি তৃপ্তির ব্যাপার আছে। মানুষ যখন জীবিত অবস্থায় চলতে থাকে তখন তার নানান বিষয়ে, দিকগুলোকে বিবেচনা করে তার অবস্থানকে, অর্জনকে সম্মানিত করা হয় তখন জীবনটাকে অনেক সার্থক মনে হয়। এর আগেও আমি বহুবার জাতীয়ভাবে, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। কিন্তু রোটারির পক্ষ থেকে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি বিস্মিত হয়েছি। কারণ এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি পুরস্কার। সত্যিই আমি প্রীত হয়েছি, সমৃদ্ধ হয়েছি। এই পুরস্কার আমার মনের মধ্যে এক অন্যরকম ভালো লাগার জন্ম দিয়েছে। আবার এটাও সত্যি প্রত্যেকবারই প্রতিটি পুরস্কার পাবার পর আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমার নবজন্ম হয়েছে। তখন মনে হয় সত্যিই জীবন সার্থক। সত্যিই জীবন সুন্দর।' গীতিকার হিসেবে গাজী মাজহারুল আনোয়ারই সবচেয়ে বেশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯২ সালে আওকাত হোসেনের 'উচিৎ শিক্ষা'র জন্য প্রথম পুরস্কার পান। এরপর একে একে তিনি দীলিপ বিশ্বাসের 'অজান্তে', এফ আই মানিকের 'লাল দরিয়া', শাহ আলম কিরণের 'চুড়িওয়ালা', মৌসুমীর 'কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি' এবং সর্বশেষ তিনি গেল বছর ১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৮২ সালে প্রথম 'নান্টু ঘটক' সিনেমা পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শাস্তি, সমাধি, বিচারপতি, চোর, সন্ধি, স্বাক্ষর, স্বাধীন, শ্রদ্ধা, স্নেহ, উল্কা, তপস্যা, আম্মা, পরাধীন, আর্তনাদ, রাগী, জীবনের গল্প, এই যে দুনিয়া, পাষাণের প্রেম, হৃদয় ভাঙা ঢেউ সিনেমা পরিচালনা করেন। তার প্রযোজনা সংস্থা 'দেশ চিত্রকথা' থেকে ৪৬টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ফের বিতর্কে 'গুমনামি' বিনোদন ডেস্ক 'গুমনামি' নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি জন্মলগ্ন থেকেই বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে। কখনও বসু পরিবার আপত্তি তুলেছে 'গুমনামি' নিয়ে তো কখনও রাজনৈতিক দলের রোষানলে পড়তে হয়েছে। তবে সেন্সর বোর্ড সবুজ সংকেত দেয়ায় অনেকটাই রেহাই পেয়েছিলেন 'গুমনামি' নির্মাতারা। কিন্তু বিতর্কের রেশ যেন থামতেই চাইছে না। 'গুমনামি'র স্থগিতাদেশ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন ফরওয়ার্ড বস্নকের নেতা দেবব্রত রায়। উলেস্নখ্য, দিন কয়েক আগেই ফরওয়ার্ড বস্নকের রাজ্য দপ্তরে ট্রেলার লঞ্চ উপলক্ষে পরিচালক সৃজিতসহ জড়ো হয়েছিলেন দুই অভিনেতা। তবে বেনজিরভাবে ফরওয়ার্ড বস্নকের রাজ্য দপ্তরে গিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই প্রয়াসে অনেকে বাহবা দিলেও দলের একাংশের মানভঞ্জন বোধহয় এখনও অধরাই রয়ে গেল। তাই সম্ভবত ছবির মুক্তির হপ্তা তিনেক আগে 'গুমনামি' প্রদর্শন রোখার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন দেবব্রত রায়। ফরওয়ার্ড বস্নক নেতা দেবব্রত রায়ের বক্তব্য, "ছবির নাম 'গুমনামি' কিন্তু মুখার্জি কমিশন কিন্তু বলেনি যে গুমনামি বাবাই নেতাজি। ভারত সরকার যেখানে এই যুক্তির পক্ষে প্রমাণ দিতে পারেনি, সেখানে নেতাজিকে নিয়ে সিনেমা বানিয়ে অপমান করার অধিকার কারও নেই। কারণ, নেতাজির সঙ্গে গোটা দেশের আবেগ জড়িত।" এ বিষয়ে নতুন কোনো মন্তব্য করেননি পরিচালক সৃজিত। জানা গেছে, ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২ অক্টোবর।