সা ক্ষা ৎ কা র

শিল্পীদের স্বার্থসংরক্ষণ করা বেশি জরুরি

চিত্র নায়ক জায়েদ খান। অভিনয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে চলচ্চিত্রে অভিনয়ও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত বছর মালেক আফসারীর 'অন্তর জ্বালা' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি বেশ আলোচনায় আসেন। বর্তমানে কাজ করছেন 'বাহাদুরী' নামের একটি ছবিতে। আবার আসন্ন নির্বাচন নিয়েও বেশ ব্যস্ততা বাড়ছে তার। কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জায়েদ খান
চলমান সময়... সম্প্রতি সফিক হাসান পরিচালিত 'বাহাদুরী' চলচ্চিত্রের ডাবিং শেষ করেছি। অন্য আরেকটি ছবির একদিনের ফাইটের কাজ বাকি ছিল, সেটিও শেষ করেছি। শুটিং থাকলেও চলচ্চিত্রের স্বার্থেই কাজগুলো পিছিয়ে দিয়েছি। আমার কাছে অভিনয়ের চেয়ে চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা বেশি জরুরি। চলচ্চিত্র শিল্পটাকেও বাঁচাতে হবে। চলচ্চিত্র বাঁচলেই বাঁচব আমরা। আসন্ন নির্বাচনে... আগামী নভেম্বরের ৪ তারিখের দিকে আমাদের বর্তমান প্যানেলের সাধারণ সভা হবে। এরপর হয়তো পরের মাসের ১৮ তারিখের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে গতবারের মতো এবারও সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি গত দুই বছর শিল্পী সমিতিসহ সবার জন্য কি করেছি- তা সবারই জানা। আশা করছি সবার ভালোবাসা ও ভোট পেয়ে আমি আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হব। ভোটারদের প্রতি এই বিশ্বাস আমার আছে। শিল্পীদের ভালোবাসা... শিল্পীদের প্রতি আমার টান এবং আমার প্রতিও যে শিল্পীদের সুন্দর ভালোবাসা- এটা প্রমাণিত। এই তো গত ঈদেই সবার জন্য কম খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিল্পীদের পাশে থেকে তাদের ভালোবাসা পাচ্ছি- এটাই বড় প্রাপ্তি। সবাই জানেন আমি গত দুই বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানি বন্ধ করেছি। বিদেশি শিল্পীরা যেন আমাদের দেশে রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া শুটিং করতে না পারে সেটিও বেশ পাকাপোক্ত করেছি। এছাড়াও এই অঙ্গনে কিছু অশুভ ছায়া ছিল সেগুলোও বিতাড়িত করতে পেরেছি। \হ প্রত্যাশা... চলচ্চিত্রের বেশিরভাগই মানুষই নিজের স্বার্থটাকেই প্রাধান্য দেয়। প্রতিটি মানুষের মনেই স্বপ্ন লুকিয়ে থাকে। আর স্বপ্ন পূরণের জন্যই কিন্তু মানুষ বেঁচে থাকে। আমি চলচ্চিত্রকে অনেক ভালোবাসি। এ আগ্রহ বজায় রাখতে হবে। কারণ চলচ্চিত্র ছাড়া আমার অন্যকোনো ভালোবাসা নেই। তবে সবার আগে ব্যক্তি স্বার্থকে বাদ দিয়ে সামগ্রিক স্বার্থকে আগে দেখতে হবে।