সা ক্ষা ৎ কা র

গল্প পছন্দ হলে আপত্তি নেই

চলচ্চিত্রের আলোচিত নতুন নায়িকা পূজা চেরী। যৌথ প্রযোজনার ছবি 'নূরজাহান' দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তবে শুরুটা ভালো না হলেও একক প্রযোজনার ছবি 'পোড়ামন-টু'র মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। এ ছাড়া বর্তমানে কাজ করছেন 'জিন' নামক একটি চলচ্চিত্রে। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পূজা চেরী
শুটিং নিয়েই ব্যস্ত... এ মাসেই (বিএফডিসি) শুটিং করছি জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত 'জিন' চলচ্চিত্রে। যদিও গল্পটা ভৌতিক। আশা করি দর্শকের ভালো লাগবে। শুটিং চলবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন নাদের চৌধুরী। এতে আমার সহকর্মী হিসেবে অভিনয় করছেন অভিনেতা আব্দুন নূর সজল ও রোশান। শুটিং এর জন্য সপ্তমী, অষ্টমী সব পার হয়ে গেলেও পূজা দেখতে যেতে পারিনি। যদিও পরে কয়েকটি মন্ডপে ঘুরেছি। কোনোদিন ভাবিনি... আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে অভিনেত্রী বানানোর। মার ইচ্ছাতেই মিডিয়ায় আসা। তবে আমি কোনোদিন ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি নায়িকার উপাধি পাব। আমার প্রথম চলচ্চিত্র শিশু চরিত্রে 'ভালোবাসার রঙ' এর সময় আমি নায়কের পায়ের উপর খড় দিয়ে ঢেকে দেয়ার অভিনয় দিয়ে প্রযোজক আজিজ ভাইয়ের নজরে আসি। আমার অভিনয় দেখে তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমি বড় হলে নাকি আমাকে নায়িকা বানাবেন। তারপর ঘুরে ফিরে তাই হলাম। আপত্তি নেই... আমি চলচ্চিত্রে ধরতে গেলে একেবারেই নতুন। কোনো চ্যালেঞ্জ আমার নেয়ার দরকার নেই। আমার কাজের ভালো-মন্দের দায়িত্ব দর্শকের। আমার আর সিয়ামের তৃতীয় চলচ্চিত্র 'শান' খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে। এখন ভৌতিক গল্প 'জিন' তো করছিই। এছাড়াও জাজের বাইরে কাজ করার ঘোষণা ইতোমধ্যে দিয়েছি। একাধিক চলচ্চিত্রের গল্প নিয়ে কথাও চলছে। তবে নায়ক পছন্দ করার দায়িত্ব থাকবে পরিচালক আর প্রযোজকদের। আমার গল্প পছন্দ হলে সবার কাজে আপত্তি নেই। এখনো মনে পড়ে... নায়িকা হওয়ার আগের কয়েকটা ঘটনা এখনো মনে পড়ে। দীর্ঘ তিনমাস ফটোশুট আর গ্রম্নমিং করতে হয়েছিল আমাকে। তখনও মনে প্রশ্ন ছিল আসলে কে হবে নায়িকা? মায়ের চোখে মুখেও ভীষণ টেনশনের ছাপ ছিল। কারণ আমার চেয়ে তার বেশি টেনশন ছিল। পরে যখন ঘোষণা হয়ে গেল পূজাই হচ্ছে নায়িকা। তখন আরও বেশি মনের ভিতরে টেনশন কাজ করছিল। তখন মনে হয়েছিল কখন শুরু হবে শুটিং। আবার মনে মনে ভাবছিলাম শেষ পর্যন্ত হবে তো। আর এখন তো দিনেরাতে কাজ করতে করতে প্রায় ক্লান্ত। ভাবা যায়!