ফের মঞ্চে রোজী সিদ্দিকী

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রোজী সিদ্দিকী
বিনোদন রিপোর্ট অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী। টেলিভিশন ও মঞ্চনাটক দুটোতেই সমান তালে অভিনয় করেন। তার অভিনীত আলোচিত মঞ্চনাটক 'পঞ্চনারী আখ্যান'। নাটকটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত হয়েছে। এতে একক অভিনয় করেছেন রোজী সিদ্দিকী। নাটকটিতে জুলেখা, নাজমা, মনোরমা, মরিয়ম ও মমতাজ চরিত্রে দেখা যাবে এ অভিনেত্রীকে। হারুন অর রশীদের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। এটি ঢাকা থিয়েটারের ৩৭তম প্রযোজনা। ইতোমধ্যে নাটকটির অর্ধ শতাধিক মঞ্চায়ন হয়েছে। নাটকটি নিয়ে ফের মঞ্চে আসছেন অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে 'পঞ্চনারী আখ্যান'। সৃষ্টির সূচনা থেকে নারীর দাবি কেবল নারী নয়, তার পরিচিতি হোক মানুষ হিসেবে। বিত্তহীন, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত শ্রেণি থেকে শুরু করে পেশাগত সব অবস্থানেই নারী সহস্র বছর ধরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় অন্যায়, বিভেদ আর বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। নারীর অধিকার নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু পুরুষ শব্দের সমান অর্থবহ উচ্চারণে নারীর নামকরণ আদৌ হয় কী? নিপীড়ন আর নির্যাতনের যাঁতাকলে কোনো না কোনোভাবে পিষ্ট হচ্ছে প্রতিটি নারী। এ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে নিরন্তর সংগ্রামে লিপ্ত বিশ্বের নারীরা। বৈষম্যের হাহাকারকে অতিক্রম করে কবে তারা মানুষ হিসেবে নিজেকে অনুভব করতে পারবে এই আর্তনাদই ধ্বনিত হয়েছে 'পঞ্চনারী আখ্যান' শীর্ষক নাট্যে। নাটকটি নিয়ে রোজী সিদ্দিকী বলেন, 'মঞ্চে আমার সেরা কাজের মধ্যে 'পঞ্চনারী আখ্যান' অন্যতম। এমন একটি চমৎকার গল্পের নাটক রচনার জন্য হারুন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই সাথে কৃতজ্ঞ নাটকটির নির্দেশক শহীদুজ্জামান সেলিমের প্রতি। কারণ এতে অভিনয় করে আমি অনেক সাড়া পেয়েছি এবং প্রশংসিতও হয়েছি। সত্যি বলতে কী, শুধু এ নাটকে নয়, যে কোনো নাটকেই আমি যখন অভিনয় করি তখন নিজেকে ভুলে যাই। আমি সেই চরিত্রটিই হয়ে ওঠার যথাসাধ্য চেষ্টা করি। আমার একটি কথা খুব মনে পড়ে সব সময়, তা হলো শ্রদ্ধেয় শিল্পী প্রয়াত গোলাম মুস্তাফা আমার অভিনয় দেখে একবার বলেছিলেন- তুই তো গড গিফটেড একট্রেস। এটা যে আমার জন্য কত বড় আশীর্বাদ ছিল তা বোঝাতে পারব না। তার সেই কথা প্রায় সময়ই কাজ করতে গিয়ে অনুভব করি। কিন্তু এটাও সত্যি, আমি প্রতিনিয়ত অভিনয় শেখার চেষ্টা করি। অভিনয় মনের মধ্যে লালন করি সব সময়।' এ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন আফজাল হোসেন, সংগীত পরিকল্পনায় মঞ্চকুসুম শিমূল ইউসুফ ও চন্দন চৌধুরী। পোশাক পরিকল্পনায় নাসরিন নাহার ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন ওয়াসিম আহমেদ।