সাক্ষাৎকার

গল্পটা হতে হবে আমাকে নিয়ে

রোজিনা। সিনিয়র চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও চলচ্চিত্রাঙ্গন ছেড়ে যাননি। মনেপ্রাণে চলচ্চিত্রকেই লালন করেন। আসন্ন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। নির্বাচন ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে ...

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রোজিনা
নির্বাচনে প্রার্থী ... আমি আপাদমস্তক একজন চলচ্চিত্রের মানুষ। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গেই থাকতে চাই। বাংলাদেশে থাকলে চলচ্চিত্রের লোকদের সঙ্গেই আমার সময় কাটে। চলতি মাসেই আমার লন্ডনে চলে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সবার অনুরোধে টিকিট বাতিল করতে হয়েছে। শিল্পীদের অনুরোধে, দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমি চাই, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হোক। নির্বাচনী পরিবেশ আমার কাছে ভালোই মনে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশেই ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। তারপর প্রত্যেক নির্বাচনেই পক্ষ-বিপক্ষ, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ থাকবেই। হিংসা-রেশারেষি না করে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নির্বাচনে বিজয়ী-পরাজয়ী সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে নয় ... আমার কাছে পদ বড় নয়, কর্মই বড় ব্যাপার। বড় পদ মানে বড় দায়িত্ব। শুধু নির্বাচনে বিজয়ী হলেই তো হবে না। অর্পিত দায়িত্বও পালন করতে হবে সঠিকভাবে; কিন্তু দেশের বাইরে থেকে সে দায়িত্ব পালন করা হয়তো সম্ভব নয়। কারণ সবাই জানেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করছি। বছরের বেশির ভাগ সময় আমাকে প্রবাসে কাটাতে হয়। বছরে দু-একবার এসে গুরু দায়িত্ব পালন করা যায় না। তবে কার্যনির্বাহী পদেরও দায়িত্ব আছে। কিন্তু সে দায়িত্ব বড় নয়। আমার জন্য যা সম্ভব তা-ই করার চেষ্টা করছি। সমিতি সরব, চলচ্চিত্র নীরব ... প্রত্যেক সেক্টরেই সমিতি বা সংগঠনের প্রয়োজন আছে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও যেমন সংগঠন আছে, তেমনি চলচ্চিত্র শিল্পীদেরও সমিতি আছে এবং এসব সংগঠন থাকা দরকার। এতে করে সবার অধিকার আদায় নিশ্চিত হয়। সুখ-দুঃখের সময় অনেককেই পাশে পাওয়া যায়। বিপদে একটি নির্ভরতার আশ্রয় থাকে। তেমনি চলচ্চিত্র সমিতিও চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও শিল্পীদের জন্য কাজ করে আসছে। বিগত কমিটি শিল্পীদের জন্য বেশ কিছু কাজ করেছে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নেও সক্রিয় ছিল। তবে তার ফলাফল হয়তো এখনো দেখা যাচ্ছে না; কিন্তু প্রক্রিয়াধীন। একটি চূর্ণ-বিচূর্ণ বিল্ডিংকে দাঁড় করাতে তো সময় লাগবেই। সুতরাং চলচ্চিত্র উন্নয়নেও সমিতি সরব রয়েছে। বর্তমান সরকারও চলচ্চিত্রের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। সত্যি বলতে কী, প্রযোজক এগিয়ে না এলে নতুন ছবি হবে কী করে। আর নতুন ছবি না হলে শিল্পীরা কাজ করবেন কীভাবে? তবে আমার মনে হয়, চলচ্চিত্রের পরিবর্তন হচ্ছে। নির্মাণ ও অভিনয় নিয়ে ... অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছি, নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বেশকিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছি। সেসব ছবি ব্যবসা সফলও হয়েছে। নতুন ছবি প্রযোজনার পরিকল্পনা আছে। আপাতত স্ক্রিপ্টের কাজ চলছে। সময়-সুযোগ হলে সবাইকে জানিয়েই কাজ শুরু করব। এ নিয়ে আগেই কিছু বলা ঠিক হবে না। আর অভিনয় করব, তবে গল্পটা হতে হবে আমাকে নিয়ে।