সাক্ষাৎকার

অনেক পরিশ্রমের প্রকল্প 'জিন'

সফল মডেল অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। দীর্ঘদিন ধরেই একক নাটকের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। মডেলিংয়েও দু্যতি ছড়িয়েছেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্রে কাজ করেও প্রশংসা অর্জন করেছেন এ তারকা। বর্তমানে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিতব্য 'জিন' ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আব্দুন নূর সজল
'জিন' প্রসঙ্গে... ছবিটি পরিচালনা করছেন নাদের চৌধুরী। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা শুটিং করতে হবে। এরপর বাকি থাকবে শুধু গান। ছবিটি মূলত ভৌতিক গল্পের। আশা করি দর্শকদের বেশ ভালো লাগবে। প্রথমদিকেই 'জিন' গল্প পড়েই আমার কাছে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। তবে ভালো গল্পের কাজ করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। ইদানিং কাজ কমিয়ে দিয়েছি। তবে যে গল্প আমার কাছে ভালো লাগবে সেই কাজ আমি অবশ্যই করতে চাই। এতে আমার সাথে জুটি বেঁধে কাজ করছেন এ সময়ের আলোচিত 'পোড়ামন-টু' খ্যাত চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। শুটিং ইউনিট নিয়ে... দীর্ঘদিন ধরেই এই অঙ্গনের সাথে আমি জড়িত। দেশ ও দেশের বাইরে আমার অসংখ্য কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও আমি তিনটি চলচ্চিত্রেও কাজ করেছি। আমার সকল কাজকে ছোট না করেই বলছি, অসম্ভব রকমের সুন্দর আর হেল্পফুল আমার কাছে এই শুটিং ইউনিট মনে হয়েছে। কোনো রকমের ঝামেলা ছিল না এই ইউনিটে। আমার কাছে মনে হয় সব কিছুই গোছানো আর পস্নানিং করা। ডিওপি সাইফুল ইসলাম ভাইও অনেক ভালো ক্যামেরা চালিয়েছেন। এক কথায় সকল ইউনিট অনেক ভালো। পূজার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা... প্রথমবার চলচ্চিত্রে পূজার সাথে জুটি বেঁধে কাজ করছি। খুব পরিপাটিভাবে কাজ বুঝেশুনে করছেন পূজা। কাজ প্রথম করলেও তার কাজের সঙ্গে পরিচয় দীর্ঘদিনের। ছোটবেলা থেকেই পূজা মিডিয়ায় কাজ করছেন। শিশুশিল্পী হিসেবে যেমন সফল, তেমনই নায়িকা হিসেবেও সফল বলা চলে। এক কথায় অনেক সুন্দর অভিনয় করেন পূজা। তার সঙ্গে কাজ করার পর থেকেই অনেকের মন্তব্য পাচ্ছি, প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকেই বলেছে আমাদের দু'জনকে জুটি হিসেবে ভীষণ মানিয়েছে। কঠোর পরিশ্রম... 'জিন' ছবির কাজ করতে অনেক ঘাম ঝড়াতে হচ্ছে। একটানা কাজ করতে হচ্ছে। কোনো বিরাম নেই। অনেক সময় তিনদিকে তিনটি ক্যামেরা সেট করা হয়। এক টেকেই আমাদের তিন থেকে চার মিনিট সংলাপসহ অভিনয় করতে হচ্ছে। যা চলচ্চিত্রে আমার দেখা মতে আগে চোখে পড়েনি। আবার এমনও শর্ট ছিল আট থেকে দশ মিনিটও লেগে গিয়েছিল। মূলত এফডিসির এক নং ফ্লোরের ভেতরে অসম্ভব গরমের মধ্যে ঘাম ঝরিয়েই কাজটি করতে হয়েছে আমাদের। যদিও এ রকম অভ্যাস আমার আগে থেকেই রয়েছে।