সাক্ষাৎকার

অনেকেই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক আরিফা পারভিন মৌসুমী। এরই মধ্যে সফলতার সঙ্গে ক্যারিয়ারের দুই যুগ পার করে দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন পথচলায় অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন একাধিক চলচ্চিত্র পুরস্কার। আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই তারকা। রোববার এফডিসিতে নির্বাচনী প্রচারণার এক ফাঁকে যাযাদির সঙ্গে কথা বলেন তিনি...

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আরিফা পারভিন মৌসুমী
নির্বাচন নিয়েই এখনকার ব্যস্ততা... কাজ আর নির্বাচনী প্রচারণা নিয়েই বর্তমানে সময় কাটছে। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি নতুন চলচ্চিত্রের কাজ করছি। এটি এফডিসির ১ নং ফ্লরে শুটিং চলছে। অনেক ছবির ব্যাপারে কথা চলছে। তবে আপাতত নির্বাচন ছাড়া নতুন কোনো ছবি হাতে নিচ্ছি না। নির্বাচন শেষ করেই পুনরায় আবার কাজে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো পরিকল্পনাই ছিল না... নির্বাচন করার কোনো পরিকল্পনাই আমার ছিল না। হঠাৎ করে আমার সহকর্মী চিত্রনায়ক রিয়াজ, ফেরদৌসসহ অনেকেই আমাকে নির্বাচনের জন্য অনুরোধ করলেন। সবার পরামর্শেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া। কিন্তু এর পরের ঘটনা তো আপনারা সবাই জানেন। শেষমেশ অনেকটা জেদের বশেই নির্বাচন করছি। অনেকেই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন... আমি গত নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদে অনেক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এরপর দেখলাম অনেকেই আমাকে পাশ কাটিয়ে চলার চিন্তা-ভাবনা করছেন। পরে নিজেই জায়গাটি ছেড়ে চলে গেলাম। পরে শুনলাম আমার জায়গায় নিপুণকে নেয়া হবে। আমিও তাকে সম্মতি দিলাম। নিপুণ তো আমারই কলিগ। এরপর নিজের শুটিং আর নানান কাজের জন্য এখানে আসা হয়নি। বর্তমানে নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিনিয়ত আসছি। সবার সাথে ভোটের ব্যাপারে কথা বলছি। খারাপ লাগছে না বটে। আমরা আমরাই তো... যারা কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন, দিনশেষে তাদেরই ক্ষতি। সত্য-মিথ্যা মানুষ তো সবই এখন বোঝে। একটা সামান্য বিষয় নিয়ে তিল থেকে তাল বানিয়ে ফেলছেন। বিষয়গুলো খুবই লজ্জাজনক আর দুঃখজনক। এতে করে বাইরের মানুষগুলো আমাদের খারাপ ভাববে। আমরা তো কেউ কারও বন্ধু, ভাই এমনকি সহকর্মী হিসেবেই থাকব। থুথু উপর দিকে ফেললে কিন্তু নিজের গায়েই আগে পড়ার কথা। এটা মনে রাখা দরকার আমাদের সবার। জয়-পরাজয় মুখ্য নয়... জয়-পরাজয় নিয়েই তো নির্বাচন। আমাকে যে সবাই বিজয়ী করবে, তা কিন্তু নয়। জয়লাভও করতে পারি, আবার পরাজয় বরণও করতে পারি। সেটি আমার কাছে মুখ্য নয়। তবে আমি জয়ী হলে প্রথমেই অনেককেই সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নিয়ম মেনে তারা যদি তাদের পদ ফিরে পায় সেই বিষয়গুলো আগে দেখব। এছাড়াও এখানে কিছু অনিয়ম রয়েছে সেই বিষয়গুলোও ঠিক করার চেষ্টা করব। সবার দোয়া চাই। বাকি সব ভোটারদের ইচ্ছা।