সা ক্ষা ৎ কা র

এফডিসির ভেতর কেউ সুপারস্টার নন

চিত্রনায়ক জায়েদ খান। অভিনয় কমিয়ে দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকদিন পর সম্প্রতি 'এক কয়েদির ডায়েরি' শিরোনামের একটি নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জায়েদ খান
নতুন ছবি নিয়ে ... অচিরেই শুরু করতে যাচ্ছি বহুল প্রতীক্ষিত ও একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র 'এক কয়েদির ডায়েরি'। এটি পরিচালনা করবেন প্রখ্যাত পরিচালক মালেক আফসারী। এটি আমার নিজের প্রযোজনায় দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। আগামী মাসে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে শুটিং শুরু করব। নতুন চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য আর নিজেকে ফিট করতে অনেক ওজন কমিয়েছি। পাশাপাশি একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমি আসলে ভালো গল্পের কাজ করতে চাই। ফের নির্বাচনে প্রার্থী ... আমি একজন চলচ্চিত্রকর্মী। দীর্ঘদিনের চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই অঙ্গনে আমার পথচলা। এখানে শুরু থেকে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে আমার কাজ করা হয়েছে। নিজের চোখে দেখেছি নানা অনিয়ম। তাই গতবার বাধ্য হয়েই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন করি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হই। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়েছে। চলচ্চিত্রের স্বার্থে আমাকে সব অপশক্তির মোকাবেলা করতে হয়েছে এবং এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এখানে অনেক রকমের ধ্রম্নম্রজাল তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য আবার সেই পদে বহাল রয়েছি। এতে হয়ত কিছু লোকের অসুবিধা হচ্ছে। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ... আমি বারবার একটি কথা বলতে চাই। সব শিল্পীকেই আমি ভালোবাসি। কারও প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। কাউকে হেনস্তা বা অপমান করেছি কেউ বলতে পারবেন না। বরং রাত-বিরাতে বিপদে পড়া শিল্পীদের পাশে গিয়ে আমি দাঁড়িয়েছি। আমার কাছে থেকে উপকার পায়নি- এমন একজন শিল্পীও বলতে পারবেন না। আমার মতে, একজন নায়িক-নায়িকা এই অঙ্গনের বাইরে সুপারস্টার হতে পারে। কিন্তু এখানে সে সবার মতো সমান। তার পরিচয় সে একজন চলচ্চিত্র শিল্পী। এখানে আমরা একই পরিবারের। এই বিষয়গুলো কেউ বুঝতে চায় না। একজন ভালো অভিনেতা আর একজন ভালো নেতৃত্ব এক নয়। ধরুন; আপনি অনেক ভালো অভিনেতা। কিন্তু টাকার জন্য দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। সে ক্ষেত্রে নিজেকে ভালো মানুষ সাজিয়ে লাভ কি। আগে দেশের কথা ভাবতে হবে। আগে দেশের শিল্প নিয়ে ভাবতে হবে। আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি, আমি শুধু দেশের চলচ্চিত্রের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। এর বেশি কিছুই নয়। দায়িত্বে থেকে ... আমি গত দুই বছর শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। নিজের হাতে থাকা চলচ্চিত্রের প্রতি কম গুরুত্ব দিয়ে সমিতির জন্য কাজ করেছি। সবাইকে আগলে রেখে এই জায়গার মানুষগুলোকে একত্র রাখার চেষ্টা করেছি। কতটুকু করেছি, তা সবার কাছেই স্পষ্ট। অনেক কিছুই করা হয়েছে। বাকি কাজগুলো সময়ের অভাবে করা সম্ভব হয়নি। অল্প সময়ে আসলে সব করা যায় না। আজ যাদের জন্য এতকিছু করেছি, তারাই এই সামান্য ক্ষমতা নেয়ার জন্য আমার দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলছেন। সত্যি এটি দুঃখজনক।