সা ক্ষা ৎ কা র

আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে

চলচ্চিত্রের খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। অভিনয় জীবনে ৯০০-এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। গত দুই বছর চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনের পর আবারও একই পদে প্রার্থী হয়েছেন। অভিনয়, নির্বাচন ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মিশা সওদাগর
শুটিং... সম্প্রতি বদিউল আলম খোকন পরিচালিত 'আগুন' চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করলাম। এখন ছবিটির ডাবিং বাকি রয়েছে। নির্বাচনের পর ডাবিং শুরু করব। এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। সভাপতি পদপ্রার্থী... চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে গতবারের মতো এবারও সভাপতি পদে নির্বাচন করছি। এবারও আমার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন জায়েদ খান। আমি আশাবাদী এবারও মিশা-জায়েদ প্যানেল জয়ী হবে ইনশাআলস্নাহ। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছি। এবারে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পীদের সবার প্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সভাপতি প্রার্থী লাঞ্ছিত... আমরা শিল্পীমনা মানুষ। আমাদের এখানে ঝগড়া-বিবাদের প্রশ্নই উঠে না। সেদিন এফডিসিতে কিছু আপিত্তকর ঘটনা ঘটেছিল। আমি নির্বাচন কমিশনকে ফোন দিয়ে নিয়ে এসে সবকিছু মীমাংসা করে দিলাম। সেখানে একটি জাতীয় পত্রিকায় মৌসুমী বলেছেন আমি নাকি চুপ ছিলাম। যেখানে অনেক সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন। আমাকে নিয়ে মৌসুমীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। মৌসুমীর সঙ্গে আমার কোনো শত্রম্নতা নেই। নির্বাচনে আমরা একই পদে লড়ছি ঠিক কিন্তু আমরা একই সঙ্গে অনেক কাজও করেছি। আমাদের মধ্যে সম্পর্কও ভালো। নির্বাচনে মৌসুমী বিজয়ী হলে আমি নিজে গিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে আসব। আমি মিশা সওদাগর চলচ্চিত্রে কেমন সেটি কম-বেশি সবাই জানে। এটি আমাদের ভালোবাসার জায়গা। এখানে নোংরা রাজনীতির কোনো প্রশ্নই উঠে না। বিষয়গুলো খুবই দুঃখজনক। দায়িত্ব থেকে... আমি গত দুই বছর এই চলচ্চিত্র শিল্পী-সমিতি শিল্পীদের জন্য অনেক কাজ করেছি। অনেক দুস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছি, শিল্পীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, সবাইকে নিয়ে বড় আয়োজনে পিকনিক থেকে শুরু করে ইফতারের আয়োজন করেছি। এছাড়াও প্রতি ঈদে সমিতির মেম্বারদের ঘরে ঘরে ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। সিনিয়র শিল্পীদের সম্মানে নিজের জায়গা থেকে কিনা করেছি। কেউ মৃতু্যবরণ করলে জানাজা থেকে শুরু করে মাগফিরাত অনুষ্ঠান, শিল্পীদের মৃত্য দিবস পালন করেছি। এসব কিন্তু আগের কমিটি করেনি। আমরা দু'বছরে যা করেছি সেখানে অনেকেই তা কিন্তু করেনি। যেখানে এতকিছু করেছি সেখানে উল্টো নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। কথায় তো অনেক কথা আসে। যারা এতো বড় বড় কথা বলছেন তারা এই দুই বছর কোথায় ছিলেন। তারা কেন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসে দেশ ও জনদরদী দেখাচ্ছেন। আমি চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। জয়ী হলে... গতবার নির্বাচনের পর থেকে নানা রকমের আলোচনা আর সমালোচনায় অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে ৫০ কোটি টাকার একটি ফান্ড নিয়ে এসে শিল্পীদের আবাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও খেয়াল রাখব কোনোভাবে যেন চলচ্চিত্র শিল্পীদের মানহানি না হয়। প্রতিটি হল মালিকদের সাথে কথা বলে হল সংস্করণের দিকে নজর দিব। আর বাকি কাজগুলো তো আগেই বলতে পারব না। তবে সবার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলতে চাই। দয়া করে এসব নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন। আমরা শিল্পী মানুষ। আমরা কারও ক্ষতি চাই না।