বছরে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করব

বন্যা মির্জা। একাধারে তিনি মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। একটা সময় টিভি পর্দায় তার রাজসিক পদচারণা ছিল। চলচ্চিত্রে কাজ করেও হয়েছেন প্রশংসিত। সাম্প্রতিক সময়ে টিভি নাটকে তার উপস্থিতি কম থাকলেও নিয়মিত কাজ করছেন মঞ্চে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে। সম্প্রতি বেড়াতে গিয়েছিলেন আমেরিকা। সেখান থেকে ফিরেই যায়যায়দিনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি...

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বন্যা মির্জা
অটুট বন্ধন... কয়েকদিন আগে আমেরিকায় গিয়েছিলাম। তারমধ্যে একদিন থেকেছি নিউইয়র্কে। খবর পেয়ে হুট করেই টনি ভাই (টনি ডায়েস) বললেন, চল সবাই দেখা করি। ব্যাস, হলে গেল। বলতে গেলে ছোটখাটো একটি পুনর্মিলনী হয়েছে। সেখানে আমি, রোমানা, টনি ভাই, পিয়া ডায়েস, মীর সাব্বির, তারিন, ইপশিতা শবনাম শ্রাবন্তিসহ আরও অনেকেই একত্র হয়েছি। আমাদের দেখাসাক্ষাতৎ এভাবেই হয়। সেটা বাংলাদেশে হোক আর বিদেশের মাটিতে। হইহুলেস্নাড় করে সবাই একসঙ্গে সময় কাটাতে খুব পছন্দ করি। আমাদের সময়কার সবার মধ্যেই এমন বন্ধন ছিল এবং এখনো আছে। বিষয়টা সবাই উপভোগ করি। আগে আরও বেশি আড্ডা হতো, এখন অভিনয়ের বাইরেও ব্যস্ততা বেড়েছে। ফলে আড্ডা কিছুটা কমেছে। তবে সুযোগ পেলেই, সবাই একসঙ্গে হয়ে যাই। আড্ডার রসদ... আমরা কিন্তু আড্ডা দিতে দিতেই অনেক কিছু শিখেছি। একটা সময় সুবর্ণা মোস্তফা আপা, আফজাল ভাইদের সঙ্গে সঙ্গেই থেকেছি। তারা আমাদের নিয়ে বসতেন। বিভিন্ন বিষয় আলাপ করতেন। মাঝেমধ্যে অভিনয়ের বিষয় কথা বলতাম তাদের সঙ্গে। সত্যিই দুর্দান্ত ছিল সেসব দিন। মঞ্চে নিয়মিত, টিভিতে অল্প-স্বল্প... অভিনয়টাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি। তাই মঞ্চে নিয়মিত। বলতে গেলে মাসের ত্রিরিশ দিনই মঞ্চের সঙ্গে কাটাই। নিত্য-নতুন নাটক নিয়ে কাজ করি। আমার কাছে সবসময় মনে হয়, অভিনয়ের শিকড় হচ্ছে মঞ্চ। মঞ্চে অভিজ্ঞতার শেষ নেই। পাশাপাশি এটিও সত্য, টেলিভিশন নাটকে কাজ কম করছি। কখনো সময় মিলে না, কখনো চিত্রনাট্য মনে ধরে না। তারপরেও টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। চলচ্চিত্রে... গত তিন বছর ধরে আমার একটি করে চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। কিছুদিন আগেও একটি চলচ্চিত্রের কাজ সম্পন্ন করেছি। আরও একটির কাজ চলছে। চলচ্চিত্রের এই বিষয়টি চলমান থাকবে। অর্থাৎ বছরে কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে। অভিনয়ের বাইরে... অভিনয়ে বাইরে সত্যিই আমার অনেক কাজ। আমি একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছি। যেখানে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যনেলে নিয়মিত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে হয়। এ ছাড়াও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে মহিলাদের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। সব মিলিয়ে কাজের মধ্যেই থাকতে হয়। শিল্পী সংঘের দায়িত্বে... দ্বিতীয়বারের মতো শিল্পী সংঘের কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েছি। সহকর্মীদের প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ, আমাকে এমন দায়িত্ব পালনে সুযোগ দেওয়ার জন্য। প্রথম থেকেই বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এ কমিটি কাজ করছে। তারমধ্যে শিল্পীদের এককালীন ভাতা, চিকিৎসা ব্যয় কমানোর জন্য হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা অন্যতম। এসব বিষয় অনেকদূর এগিয়েছি।