সা ক্ষা ৎ কা র

নির্বাচন শেষ করেই চলচ্চিত্রে ফিরব

চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বো। চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় সহকারী ক্যারাটে মাস্টার হিসেবে। এরপর শহিদুল ইসলাম খোকনের 'ম্যাডাম ফুলি' সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক হওয়ার পরই পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে যান তিনি। বর্তমানে অভিনয়ে অনেকটাই অনিয়মিত এ অভিনেতা। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আলেকজান্ডার বো
বর্তমানে... আপাতত চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নিজেকেই বেশি সময় দিচ্ছি। এছাড়াও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০২১ সালের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করছি। আর বাকি রয়েছে মাত্র দু'দিন। আপাতত নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছি। তবে একাধিক চলচ্চিত্র নিয়ে কথাও চলছে। নির্বাচন শেষ করেই চলচ্চিত্রে ফিরব। চলচ্চিত্র থেকে দূরে... সম্প্রতি আমার অভিনীত 'অন্ধকার জগৎ' ও 'আব্বাস' মুক্তি পেল। তাছাড়া কাজ তো একের পর এক করেই চলেছি। তবে দেশীয় চলচ্চিত্র আগের অবস্থানে আর নেই। আমারও দেখা মতে এফডিসির গেট থেকে কাজী জহির রায়হান ল্যাব পর্যন্ত আমাদের সময় লাগত প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি। এমনও দিন ছিল একই দিনে চারজনের কাজ করতাম। সেখান থেকে চলচ্চিত্রের শূন্য কোঠায় চলে আসবে। এটা কোনোদিন ভাবিনি। শুরু থেকেই এমন ছিলাম শুধু কাজকেই প্রাধান্য দিতাম আর পারিশ্রমিক নিয়েও কোনোদিন ভাবিনি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে... আমি গতবারও কার্যকরী পরিষদে দাঁড়িয়েছিলাম। জয়ী হতে পারিনি। তবে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আমি কিংবা আমরা সবাই মনে-প্রাণে চাই আগের মতো এবারও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর হোক। গুটিকয়েক লোকের জন্য সকল শিল্পীর মান ক্ষুণ্ন হোক তা আমরা কেউ চাইব না। আমি একজন ভোটার। আমার ভোট যাকে দিব তার অবশ্যই এই সমিতির উপর দরদ আর ভালোবাসা থাকতে হবে। কারণ আমরা শিল্পীমনা মানুষ। কখনই চাইব না একে অপরের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িয়ে থাকুক। জয়ী হতে হলে... জয়-পরাজয় সব তো ভোটার ও ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। তারা যদি চান তবে বিজয়ী হতে পারব। যদিও বিজয়ী হওয়ার ২১ জনের কমিটিতে আমি একজন সদস্য হব। সেখান থেকে আমার নিজ উদ্যোগে একটি চাওয়া থাকবে সর্বক্ষণ এফডিসিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখতে চাই। কেননা শুটিং করার সময় অনেকেই আহত হন। এমনকি সেই বিপদের সময়গুলোতে কারও গাড়ি পাওয়া যায় না। এমনকি গাড়িওলারা নিজের গাড়ি দিতে চান না। ভবিষ্যৎ নিয়ে... যতদিন বাঁচব ততদিন চলচ্চিত্রের সাথেই থাকব। চলচ্চিত্রের প্রতি অন্যরকম একটা টান অনুভব করি সব সময়। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও প্রাণের টানেই বার বার ফিরে আসি। আজীবন এই অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত থাকতে চাই।