তারেক মাসুদ স্মরণে বক্তৃতা ও কমর্শালা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
তারেক মাসুদ
১৩ আগস্ট পূণর্ হবে তারেক মাসুদের মৃত্যুর সাত বছর। ২০১১ সালের এ দিনে মানিকগঞ্জে সড়ক দুঘর্টনায় প্রাণ হারান এ নিমার্তা, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ আরও পঁাচজন। এ উপলক্ষে নেয়া হয়েছে একাধিক কমর্সূচির উদ্যোগ। ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে স্মারক বক্তৃতা ও স্মরণ সভা। ১১ ও ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে তারেক মাসুদের সিনেমা নিয়ে কমর্শালা। এ আয়োজন যৌথভাবে করছে তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তারেক মাসুদ ১৯৫৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ফরিদপেুরের ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম নুরুন্নাহার মাসুদ ও বাবা মশিউর রহমান মাসুদ। ভাঙ্গা ঈদগা মাদ্রাসায় প্রথম পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার মাদ্রাসা শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে মাস্টাসর্ ডিগ্রি অজর্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখক শিবির, বাম আন্দোলন ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকেছেন তারেক মাসুদ। চলচ্চিত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচয় হয় একঝঁাক উদীয়মান নিমার্তার সঙ্গে। দেশে-বিদেশে চলচ্চিত্র বিষয়ক অসংখ্য কমর্শালা ও কোসের্ অংশ নেন তিনি। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় তারেক নিমির্ত প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’। ১৯৯৬ সালে নিমার্ণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ভ্রাম্যমাণ গানের দলকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’। ২০০২ সালে তার প্রথম পূণৈর্দঘ্যর্ চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’ মুক্তি পায়। তার অন্য দুটি সিনেমা হলো ‘অন্তযার্ত্রা’ (২০০৬) ও ‘রানওয়ে’ (২০১০)। এ ছাড়া নিমার্ণ করেন বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈঘ্যর্ চলচ্চিত্র। সবকটিই প্রশংসা পায়। লাভ করে একাধিক স্বীকৃতি।