সাক্ষাৎকার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন জরুরি

ফজলুর রহমান বাবু। দেশের জাঁদরেল ও খ্যাতিমান এক অভিনেতা। মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র- সবখানেই জনপ্রিয়তা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। বহুমাত্রিক এই অভিনেতা প্রায় সব ধরনের চরিত্রেই সাবলীল অভিনয় করে দর্শকের অন্তরে স্থায়ী আসন গেড়েছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য পুরস্কারও পেয়েছেন এই অভিনেতা। এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের গেজেটে সেরা কৌতুক অভিনেতার তালিকায় নাম দেখা যাচ্ছে তার। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। তবে সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার নিয়ে কদিন ধরে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সব বিষয়ে খোলামেলা কথা বললেন তিনি-

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফজলুর রহমান বাবু
এ প্রাপ্তি সত্যিই ভালো লাগার... জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে প্রত্যেক অভিনয় শিল্পীর আকাঙ্ক্ষা থাকে। সবাই চায়, তার চরিত্রটি পাক রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি প্রত্যেকটি চরিত্রই নিজের শতভাগ দিয়ে করার চেষ্টা করি। দেখতে দেখতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সংখ্যা 'তিন'-এ পৌঁছেছে। এ প্রাপ্তি সত্যিই ভালো লাগার। কিছু আক্ষেপ পূরণ হয় না... আক্ষেপ থাকবেই। কিছু আক্ষেপ কখনোই পূরণ হয় না। এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে আমারও কিছু আক্ষেপ আছে। আশা করেছিলাম, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের 'স্বপ্নজাল' সিনেমাটির জন্য এ পুরস্কার পাব। পেয়েছি 'গহীন বালুচর' সিনেমাটির জন্য। তাও আবার সেরা কৌতুক অভিনেতার জন্য। যদিও আমার চরিত্রটি কোনোভাবেই কৌতুকপূর্ণ নয়। এ নিয়ে বিভিন্ন বির্তক হচ্ছে। তবে পুরস্কারপ্রাপ্তি আমাকে সব সময় আনন্দ দেয়। আমি বিষয়টিকে সেভাবেই বিবেচনা করি। সব চরিত্রের প্রতিই শ্রদ্ধা আছে... একজন অভিনয় শিল্পী হিসেবে সব ধরনের অভিনয়ের প্রতিই আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। দর্শক আমার কৌতুকাভিনয় দেখার জন্য পর্দার সামনে বসে না। বসে ব্যতিক্রমধর্মী ও বাস্তবধর্মী সিরিয়াস অভিনয় দেখতে। যেমনটি আমি 'অজ্ঞাতনামা' চলচ্চিত্রে করেছি। ছবিটি যারা দেখেছেন, সবাই কেঁদেছেন। আমি সব সময় এমন সব চরিত্রে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। সত্যি বলতে আমি অভিনয় করি তৃপ্তির জন্য। তৃপ্তি না পেলে আমি অভিনয় করে মজা পাই না। পুরস্কারের ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন জরুরি... আমার মতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন দরকার। শুধু দরকারই নয়, এই পরিবর্তন জরুরিও বটে। এখন আমাদের এখানে কৌতুক ও কৌতুক অভিনেতা নেই বললেই চলে। তাই ক্যাটাগরিতে কৌতুকের বিষয়টি না থাকাই ভালো। সারা বিশ্বে যেভাবে পুরস্কারকে ক্যাটাগরাইস করা হয়, আমাদের চলচ্চিত্র পুরস্কারেও তাই করা উচিত। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ভাববে। পুরস্কার গ্রহণে কোনো আপত্তি নেই... লোক হাসানো বড়ই কঠিন কাজ। কঠিন কাজ বলেই অনেকে পারেন না। যারা করতে যান, তাদের কাজগুলো ভাঁড়ামি বলে লোকমুখে পরিচিতি পায়। অর্থাৎ বিষয়টি কেউ ইতিবাচকভাবে নেয় না। আমি আবারও বলছি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে এটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের আরও ভাবা উচিত বলে আমি মনে করি।