দ্রম্নত বিচার চান আসিফ

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আসিফ
বিনোদন রিপোর্ট ২০১৮ সালের ৪ জুন সন্ধ্যায় গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন তেজগাঁও থানায় আসিফের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সে মামলায় কারাগারেও যেতে হয় আসিফকে। আসিফের বিরুদ্ধে অন্যের গান ডিজিটালে রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করার অভিযোগ আনেন শফিক তুহিন। যদিও এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে তা প্রমাণিত হয় আদালতে। এবার সেই মামলার বিষয়ে ফেসবুকে লিখলেন আসিফ। এছাড়াও আগামী কয়েকদিনে কয়টি গান গাইবেন সে বিষয়েও বিস্তরভাবে জানিয়েছেন। মামলার বিষয়ে সিআইডিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আসিফ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আসিফ আকবর নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, 'আমার বেশিরভাগ জনপ্রিয় অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে শনিবার কিংবা ১৩ তারিখ। শনি আমার জন্মবার, ১৩ আমার প্রিয় লাকি তারিখ। কুসংস্কারকে আগেই সংস্কার করেছি। ১৩ তারিখ সিআইডি মামলার চার্জশিট দিয়ে আমার নিজস্ব স্টাইলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করলো, তাদের ধন্যবাদ। আমিই মনে হয় পৃথিবীর উলেস্নখযোগ্য আসামি, যে নিজের মামলার দ্রম্নত চার্জশিটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ চার্জশিট ছাড়া আমিও আমার তরফে আইনি প্রক্রিয়ায় ঢুকতে পারছিলাম না। আমার আইনজীবীরা তারিখের পর তারিখ চাননি মাননীয় আদালতের কাছে। এখন চাই দ্রম্নত বিচারকার্য শুরু এবং শেষ হোক। আমিও রায়ের অপেক্ষায় থাকব।' মামলার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আসিফ আকবর আরো লিখেছেন, 'পিচ্ছিল পাথরে মানুষ আহত হয়। আমাকে যারা ভালোবাসেন তারা আহত হয়েছেন এসব মামলা-মোকদ্দমায়। ছুড়ে ফেলে দেননি আমায়। আমিও কথা দিচ্ছি- সুরকার গীতিকারদের টাকা আমি মেরে দেইনি। ওরা সাতবার পুনর্জন্ম নিলেও প্রমাণ করতে পারবে না। সুতরাং ধৈর্য্য ধরুন, শান্ত থাকুন, কোনো রকম অস্থিরতা প্রদর্শন না করে আমাকে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ রাখুন। ভালোবাসা অবিরাম।' মামলার বিষয়ে বক্তব্য দেয়া ছাড়াও গানের বিষয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের নিরাশ করেননি আসিফ। আগামী তিন মাসের মধ্যে ১১০টা হামদ এবং নাত গাইবেন বলে কথা দিয়েছেন আসিফ। এ বিষয়ে আসিফের প্রতিজ্ঞা, 'আনকাট সেন্সর পেয়েছে 'গহিনের গান'। ১৩০টা গান গাওয়ার পস্ন্যান ছিল এ বছর। ৯০টির মতো গাওয়া শেষ। আরও প্রায় ৪৫টা গান ভয়েস দেয়ার অপেক্ষায়। এর মধ্যে ইসলামি গান গাওয়ার জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছি। তিনি বলেন, ১১০টা হামদ এবং নাত গাইতে হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। কথা দিয়ে দিয়েছি গাইব। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সহিভাবে গাইবার জন্য। সুস্থ যদি থাকি ইনশালস্নাহ কথার বরখেলাপ হবে না। কারণ জীবন আর জবান আমার কাছে সমান্তরাল শব্দ। শুটিং থেকে মুক্তি দিয়ে আমাকে ধন্য করেছেন লগ্নিকারী প্রযোজকগণ। আর হয়তো তিনটা গানের শুট করতেই হবে, নইলে কিছু মন ভেঙে যাবে।'