সা ক্ষা ৎ কা র

দর্শককে ঠকাতে চাই না

চঞ্চল চৌধুরী। মঞ্চ, টিভি কিংবা চলচ্চিত্র- সবখানেই সমান জনপ্রিয় তিনি। শুরু থেকে তার ক্ষুরধার অভিনয়ে দর্শক মন্ত্রমুগ্ধ। মনপুরা, আয়নাবাজি ও দেবীর মতো সুপারহিট সিনেমার পাশাপাশি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য নাটক। কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চঞ্চল চৌধুরী
এইসব দিন রাত্রি... বর্তমানে (শুক্রবার) আছি বাংলাদেশ টেলিভিশনে। এখানে একটি অনুষ্ঠানের শুটিং হচ্ছে। চলবে দিনব্যাপী। শিগগিরই অনুষ্ঠানটি বিটিভির পর্দায় দেখা যাবে। আপাতত এর বেশি বলছি না। অনুষ্ঠানটি প্রচার হলে দর্শক দেখতে পাবে। তবে এটুকু বলতে পারি, এতে চমক আছে। পাপ-পুণ্য... দীর্ঘদিন পর গিয়াসউদ্দিন সেলিমের সঙ্গে বড় পর্দায় কাজ করছি। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রাটা অন্যরকম। 'মনপুরা' ছবিটি হিট হওয়ার পর থেকেই তার সঙ্গে আমার নাম লোকে জড়িয়ে ফেলেছে। আবার যখন একসঙ্গে হয়েছি, নিশ্চয়ই ভালো কিছু উপহার দিব। 'পাপপুণ্য' গতানুগতিকের বাইরের গল্প বলবে। হাওয়া... সমুদ্রপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সংগ্রামী জীবনটা এ ছবিতে তুলে ধরা হবে। 'হাওয়া' ছবির গল্পটা দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো। সেন্টমার্টিনে এর শুটিং করতে গিয়ে পুরো দল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছিলাম। আটকাও ছিলাম ক'দিন। তারপরেও আমরা প্রথম লটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। অভ্যাস... আমি যে কোনো কাজ করার আগে কাজের মান নিয়ে ভাবি। কাজের ধরন, গল্পের নতুনত্ব ও কাজটি দেখে দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে; সবকিছু ভেবে তারপরে কাজে নামি। এটা আমার পুরনো অভ্যাস। আমি কখনো দর্শককে ঠকাতে চাই না। কাজ ও মান... অভিনয়টাই আমার একমাত্র পেশা। তাই সারা মাসই টিভি নাটকে কাজ করি। এর মাঝে গল্প ও পরিবেশ পছন্দ হলে চলচ্চিত্রে বা ওয়েব সিরিজে কাজ করি। চলচ্চিত্রে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেইনি। ভালো লাগে তাই করি। ইচ্ছে করলেই তিনশ'র উপরে সিনেমায় কাজ করতে পারতাম। একজন দায়িত্বশীল অভিনয় শিল্পী হিসেবে ভালো মানের কাজ সব সময়ই করতে চেয়েছি এবং করেছিও।