জয়ার বিয়েভীতি

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
জয়া আহসান
বিয়ে নিয়ে ভয় কাজ করে নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের। এখন তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে চান। তবে ভবিষতে মনের মতো মানুষ পেলে বিয়ে করারও ইচ্ছে রয়েছে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এই তারকা বলেন, ‘আসলে বিয়ের কথা সেভাবে এখনও ভাবিনি। একটা ভয় কাজ করে। অনেকদিন ধরে তো স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছি। তাই ভয়টা আরও বেশি। একবার বিয়ে করে যদি, দু’জনের মিল না হয়! তখন কী হবে? আমি চাই, যখন বিয়েটা করব, তখন সেটা ভেবেচিন্তেই করব। বিয়েটা দীঘর্স্থায়ী হোক, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় চেষ্টা থাকবে। তাই ভুল মানুষকে বিয়ে করতে চাই না।’ ঢাকা ও কলকাতার ছবিতে সমানতালে অভিনয় করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী জয়া। দুই দেশের কাজের ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, মাকে সময় দিতে পারি না বলে একটা অপরাধবোধ কাজ করে। তার চেয়েও খারাপ ব্যাপার হলো নিজেকে সময় দিতে পারি না। তবে আশা করি, সব সামলে নিতে পারব ভবিষ্যতে। এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু আমি বেড়িয়ে নিচ্ছি। ওটা না হলে চলবে না। ‘ক্রিসক্রস’ নিয়ে জয়া বলেন, আমার কাছে যখন চরিত্রটা এসেছিল, তখন সেটার অনেক ঘষা-মাজা হয়ে গেছে। স্তিŒপ্ট পড়ে মনে হয়েছিল, ছবিটা করা যায়। আর যিনি চরিত্রটা নাকচ করেছেন, তিনি অনেক সিনিয়র অভিনেত্রী। আমার খুব পছন্দেরও। তিনি রাজি না-ই হতে পারেন। তবে সেটা আমার কাছে কোনো সমস্যার বিষয় মনে হয়নি। ‘বিজয়া’ নিয়ে বলেন, যখন কোনো ছবিতে অভিনয় করি, সে সময় নিজের সেরাটা দিই। প্রত্যেকটা চরিত্রের সঙ্গে আমার খুব মায়া-মমতা জড়িয়ে থাকে। কিন্তু কাজটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেটা নিয়ে আমি আর একদম ভাবি না। কারণ জানি, তখন অনেক কিছু আমার হাতে থাকবে না। সম্পাদনা, সংগীতÑঅনেক রকম ব্যাপার যোগ হয়। মালাটা কীভাবে গঁাথা হচ্ছে, সেটা বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। তবে এটুকু বলতে পারি, ‘বিজয়া’য় অভিনয় করার সময় আমি সেভাবে কিছু বুঝতে পারিনি যে, ছবিটা কেমন হতে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি ছবির ডাবিং দেখার পর থেকে আমার বেশ এক্সাইটেড লাগছে। দেখে মনে হলো ছবিটা ‘বিসজর্ন’এর চেয়েও অনেক বেশি ঘটনাবহুল। আশা করছি, দশের্কর ভালোই লাগবে। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের প্রযোজনা নিয়ে জয় বলেন, সব কিছু নিজে হাতে করতে হচ্ছে। আসলে আমাদের দেশে স্ট্রাকচারটা এখানকার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। আন্তরিকতাটা থাকলেও এতটা পেশাদার চিন্তাধারা এখনও গড়ে ওঠেনি। আমি কোনোদিন ভাবিনি স্পন্সরদের সঙ্গে আমায় কথাবাতার্ বলতে হবে। আমার আবার ব্যবসায়িক বুদ্ধি খুবই খারাপ। একদম মাথা কাজ করে না। আগ্রহই নেই। অনেক সময় ভুলভাল বলে দেই।