প্রভু কুঞ্জে ফিরলেন লতা মঙ্গেশকর

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
লতা মঙ্গেশকর
টানা ২৮ দিন মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে প্রভু কুঞ্জে ফিরলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ৯০ বছর বয়সী এই গুণী শিল্পী। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের পেদ্দার রোডে প্রভু কুঞ্জে ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন লতা। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে গত ১১ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লতা লিখেছেন, 'নমস্কার। গত ২৮ দিন ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে ছিলাম। আমি নিউমোনিয়ায় ভুগেছি। এ কারণে চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন আমি হাসপাতালে অবস্থান করি। পুরোপুরি সুস্থ হলেই কেবল ঘরে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আজ মা ও বাবার আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।' চিকিৎসক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি লতা। তার কথায়, 'আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের প্রার্থনা ও শুভকামনায় সুস্থ হয়ে উঠেছি। আমি বিনীতভাবে প্রত্যেককে প্রণাম জানাই। ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার কাছে ফেরেশতা। তারা আমাকে অত্যন্ত যত্ন নিয়ে সেবা করেছেন। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। নার্সিং কর্মীরা অতুলনীয়। তাদের অন্তহীন ভালোবাসা ও আশীর্বাদ অত্যন্ত মূল্যবান। আবারও ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।' ভক্তরা লতার সুস্থতার খবরে বেজায় খুশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রিয় শিল্পীকে শুভকামনা জানিয়েছেন তারা। একজন লিখেছেন, 'আপনি ভালো আছেন জেনে খুশি হলাম। হাজার বছর বেঁচে থাকুন।' আরেকজনের অনুভূতি এমন, 'সব সময় হাসিখুশি থাকুন ম্যাডাম।' অন্যজন বলেন, 'সফল চিকিৎসার পর ঘরে ফেরায় অভিনন্দন লতা ম্যাডাম। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। আপনার সব চিকিৎসককে অভিনন্দন জানাই। আপনার সুখী ও স্বাভাবিক জীবন কামনা করি।' এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ৯০ বছরে পা রাখেন লতা। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্ন পান লতা। তার ঝুলিতে আরও আছে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা অফিসার অব দ্য লিজিয়ন অব অনার, ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস প্রভৃতি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন লতা। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানে কণ্ঠ দেওয়া শিল্পী হিসেবে গিনেসবুক অব রেকর্ডসে জায়গা করে নেন তিনি। ভারতের ৩৬টি ভাষায় তার গাওয়া গান আছে।