সাক্ষাৎকার

বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার আদশর্ বিনষ্ট হয়েছে

আজ জাতীয় শোক দিবস। জাতির বিশেষ এই দিবস উপলক্ষে একটি কাহিনীচিত্র ও একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও নন্দিত অভিনেতা তারিক আনাম খান। আসছে ঈদুল আজহায় বড়পদার্য় মুক্তি পাচ্ছে তার ‘বেপরোয়া’ ছবিটি। বতর্মানে ঈদের নাটকে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ও অভিনয় নিয়ে কথা বললেন তিনিÑ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তারিক আনাম খান
১৯৭৫-এর এই দিনে... আমি আওয়ামী লীগ নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক বড় ভক্ত। তার চেহারা, কণ্ঠস্বর, ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্বের গুণাবলি আমাকে চুম্বকের মতো টানে। তাই ১৫-১৬ বছর বয়স থেকেই ঢাকার যেখানে তার বক্তৃতা হতো, শুনতে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। তার আদশের্ অনুপ্রাণিত হয়েই ১৯৭১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ৯ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সেই দেশ নায়কের মৃত্যুদিনটি এখনো স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। তাকে দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমারও। সকাল সাড়ে ৭টায় ঘুম ভাঙে গৃহকমীর্র মুখে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে মৃত্যুর খবর শুনে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে আজিমপুরের বাসা থেকে বেরিয়ে পলাশী পযর্ন্ত হেঁটে আসি। মোড়ে মোড়ে সবাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার আলোচনা করছিল। হঠাৎ রাস্তাঘাট ফঁাকা হয়ে গেল। পুরো দেশে থমথমে ভাব। এত বড় অন্যায়ের তেমন কোনো প্রতিবাদই হলো না। হারানোর বেদনা অ¤øান... যে আদশর্, সম্ভাবনার জন্য দেশকে স্বাধীন করতে আপামর জনতা জীবনবাজি রেখেছিল, মাত্র চার বছরের ব্যবধানে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সেই আদশর্ বিনষ্ট হয়েছে। এখন দেশের কোনো সংকটে বঙ্গবন্ধুকে বড় দরকারি বলে মনে হয়। তার হত্যাকাÐের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কি আমরা আজও পূরণ করতে পেরেছি? এ জন্য তাকে হারানোর বেদনা আজও ভুলতে পারি না। শোক দিবসের কাহিনীচিত্র ও মিউজিক ভিডিও... বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে কবি ও গীতিকার সহিদ রাহমান বিশেষ কাহিনীচিত্র তৈরি করেন। তার ‘মহামানবের দেশে’ গল্প অবলম্বনে এবারও চারটি কাহিনীচিত্র নিমির্ত হয়েছে। এর মধ্যে ‘জনক ১৯৭৫’ নামে একটি কাহিনীচিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এতে আমাকে আওয়ামী লীগের একজন নেতার চরিত্রে দেখা যাবে। ময়মনসিংহ এলাকার আদিবাসীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি। এতে আরও অভিনয় করেছেন তমালিকা কমর্কার, আরমান পারভেজ মুরাদ, শ্যামল মাওলা প্রমুখ। আজ রাত ৯টায় এটিএন বাংলায় এটি প্রচার হবে। এ ছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি গানের মডেল হয়েছি। এতে আমি একজন বঙ্গবন্ধুর অনুরাগী। পরবতীর্ প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদশর্ ছড়িয়ে দিতে নাতনীকে নিয়ে নানা স্মৃতিময় জায়গা ঘুরে দেখাই। এটিও আজ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং ইউটিউবে দেখা যাবে। ঈদে বড়পদার্য় ... ঈদে আমার অভিনীত ‘বেপরোয়া’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এতে আমি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমাকে আর স্ত্রী নিমা রহমানকে পদার্য়ও স্বামী-স্ত্রীর ভ‚মিকায় দেখা যাবে। আরও আছেন রোশান, ববি প্রমুখ। দারুণ গল্পের এই ছবিটি দশর্ক খুব উপভোগ করবেন। ঈদের নাটক ... বতর্মানে নাটকের চেয়ে চলচ্চিত্রে বেশি কাজ করছি। তারপরও ঈদের বেশকিছু নাটক করেছি। এ মুহ‚তের্ মনে পড়ছে সাগর জাহানের দুটি নাটক খÐ নাটক ‘ছবিওয়ালা’ ও ‘মাধবীলতা চোখের পানি জমায়’, আবুল হায়াতের ‘আপোস’ ও ফরিদুর রেজা সাগরের গল্পে সুমন ধরের সাত পবের্র ধারাবাহিক ‘মিষ্টি পান’। এর বাইরে আমির হোসেন অরুনের ‘খান্দানি মঞ্জিল’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করছি কালিয়াকৈরে। এটি ঈদের পর প্রচার শুরু হবে।