সাক্ষাৎকার

চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করা উচিত

মডেল ও অভিনেতা নিলয় আলমগীর। সুপার হিরো-সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। তবে পরিচিতি পান টিভি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে থিতু হন খন্ড ও ধারাবাহিক নাটকে। ছোট পর্দার পাশাপাশি কাজ করেছেন বড় পর্দাতেও। তার সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নিলয় আলমগীর
ইচ্ছে নেই ফেরার... চলচ্চিত্রে নতুন করে আর ফেরার ইচ্ছে নেই। এক সময় বড় পর্দা নিয়ে অনেক পরিকল্পনাও ছিল। তবে নানা করণে ৪-৫ বছর ধরে সেখান থেকে সরে এসেছি। সে জায়গাটা দিয়েছি নাটককে। সবাই চায় যুতসই বিনোদন... বর্তমান প্রেক্ষাপটে নাটকের চাহিদা অনেক। সে সুবাদে নাটকেই বেশি কাজ করছি। এখনকার নাটক দর্শকপ্রিয়তাও পাচ্ছে। বিশেষ করে খন্ডনাটকের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। তবে এ ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মনে করিয়ে দিতে চাই, ভালো নাটক হলেই লোকে দেখে। যেসব নাটকের গল্প বা মেকিং খুব বেশি ভালো না, সেগুলো দর্শক এড়িয়ে যায়। কারণ সময় নষ্ট করে কেউতো মন্দ জিনিস দেখবে না। সবাই চায় যুতসই বিনোদন। নাটকের চাহিদা এখনো আছে... বেশ কিছুদিন ধরেই টিভিতে নাটক দেখা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। টিভিতে নাটক কম দেখার অনেকগুলো কারণও আছে। হয়তো বিজ্ঞাপন থাকছে অথবা যখন নাটক প্রচার হচ্ছে তখন তার অন্য ব্যস্ততা থাকছে। তবে ইউটিউবের বিষয়টি এমন নয়। এখানে দর্শক তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী দেখতে পারবেন। ফলে বেশিরভাগ মানুষই নিজের সুবিধামত সময় ইউটিউবে নাটক দেখেন। মূল বিষয়টি হচ্ছে দর্শকের কাছে নাটকের চাহিদা এখনো আছে। সতর্ক থাকা উচিত... কিছু কিছু টিভি চ্যানেলের জন্য নাটক নির্মাণ করার সময় দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকে। এদিক দিয়ে ইউটিউব বা ওয়েব সিরিজভিত্তিক কাজে স্বাধীনতা রয়েছে। দর্শকরাও এসব ডিজিটাল মাধ্যমে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এটা নাটকের জন্যও ইতিবাচক। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্যেও বিষয় ভালো। ফলে অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীও ওয়েবভিত্তিক প্রজেক্টে কাজ করছে। তবে কাজের স্বাধীনতা আছে বলেই উল্টাপাল্টা গল্পে কাজ করা যাবে না। গত বছর সালমান মুক্তাদির অ্যাডাল্ট ভিডিও আপলোড করে সমালোচিত হয়েছেন। এসব নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করা উচিত।