সাক্ষাৎকার

দু'দিনের বেশি নাটকের শুটিং হয় না

অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। মডেলিংয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে খন্ড নাটকের ক্ষেত্রে সাজ্জাদ যেন নির্ভরযোগ্য একটি নাম। মাঝে অভিনয় করেছেন বড় পর্দাতেও। ব্যস্ত এ অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইরফান সাজ্জাদ
সমন্বয় ছাড়া ফলাফল সুখকর হয় না... আমাদের শুটিং সেক্টরে বেশ কয়েকটি গ্রম্নপ আছে। তার মধ্যে প্রডাক্টশন টিম, ক্যামেরা ইউনিট, সহকারী পরিচালক, শিল্পী ও জুনিয়র শিল্পী এমনকি শুটিং হাউজ। এমন সাত থেকে আটটি গ্রম্নপ যখন একসঙ্গে কাজ করবে তখন সমন্বয়ের দরকার হয়। সমন্বয় না করে কাজ কারলে ফলাফল সুখকর হয় না। আগে নিয়ম তৈরি করতে হবে... কথার কথা, আমি ভালো অভিনয় করছি। কিন্তু আমার সহশিল্পী ভালো অভিনয় করছে না। তার প্রত্যেকটি শর্টে সমস্যা হচ্ছে। ইউনিটের মনের মতো কিছুই হচ্ছে না। কিংবা আমার লাইটম্যান গল্প অনুযায়ী ঠিকমত লাইট বসাতে পারছে না। তার লাইটিং করার জন্য দেরি হচ্ছে। এমন আরও অনেক সমস্যার কারণে অনেক সময়ই রাত দশটার মধ্যে শুটিং শেষ করা যায় না। এত কথার মূলে একটিই কারণ, সব ক্ষেত্রেই আমাদের একটি নিয়মে আশা দরকার। তার জন্য সবার আগে নিয়ম তৈরি করতে হবে। কদিন আগে এগারোটি সংগঠন মিলে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। আমি তার সাধুবাদ জানাই। ইতোমধ্যে এ নীতিমালা মেনে অনেকেই কাজ করছেন। আশা করছি এ সমস্যার সমাধান অচিরেই হবে। একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পৃক্ত... সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত শুটিং করতে হলে আরও অনেক জায়গায় হাত দিতে হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হলে অবশ্য প্রত্যেকটি জায়গার কাজ সঠিক সময়ে শুরু করতে হবে। সময়মত শেষ করতে হবে। কারণ এ শিল্পে একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পৃক্ত। দেড় দিনেই শুটিং শেষ হয়ে যায়... বাজেট কম থাকায় অনেক সময় দু'দিনের বেশি নাটকের শুটিং হয় না। ফলে পরিচালকরাও দ্রম্নত কাজ করতে চান। মাঝে-মধ্যে দেড় দিনেই শুটিং শেষ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কাজের চেয়ে সময় কম থাকলে সবার উপরেই চাপ বেশি থাকে। তার মানে এখানে বাজেট সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। বাজেট বেশি এতো চাপ নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হয় না।