সাক্ষাৎকার

অ্যাকশনধমীর্ ছবিতে আমি সফল

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি ভিন্নধারার ছবিতেও সফল তিনি। অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনবার অজর্ন করেছেন চলচ্চিত্রে দেশের সবোর্চ্চ সম্মান ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। ২০ বছরের অভিনয়জীবনে বড়পদার্ নিয়ে এখনো সমান ব্যস্ত তিনি। চলচ্চিত্র, ঈদ ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাদিকা পারভিন পপি
লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন... সময়টা লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের মধ্যেই দিব্যি কেটে যাচ্ছে। অভিনয় ব্যস্ততার কারণে নিজের দিকে ফিরে তাকানোরও সময় পাই না। মাঝে মাঝে পপির ব্যক্তিজীবন মিস করি। তবে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ যে কাজটি ভালোবাসি তাই করতে পারছি। তারমধ্যে যোগ হয়েছে দশের্কর ভালোবাসা, অথর্, যশ, খ্যাতি ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। সব মিলিয়ে এমন পপিই হতে চেয়েছিলাম। চলছে শুটিং... বতর্মানে ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবির শুটিং চলছে। প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। এতে আমার বিপরীতে আছেন আমিন খান ও ইমন। গতকাল সাভারে শুটিং করেছি। এই ছবিটি মূলত নারীপ্রধান গল্পের। এখানে আমি একজন ডিবি পুলিশ কমর্কতার্। বাবার খুনের প্রতিশোধ নিতে অস্থির থাকি। তাই পেশাগত ও ব্যক্তিগত দুই জীবনেই আমাকে অ্যাকশন করতে হয়। এ ধরনের চরিত্র আমার খুব পছন্দের। তা ছাড়া লেডি অ্যাকশন ছবিতে আমি বরাবরই সফল। আমার অভিনীত লেডি অ্যাকশনধমীর্ ছবি ডাকুরানী, বস্তির রানি সুরিয়া, দরিয়া পাড়ের দৌলতিসহ প্রতিটি ছবিই ব্যবসাসফল। আশা করছি, ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবিটিও দারুণ সাড়া ফেলবে। অন্যান্য ব্যস্ততা... চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত আছি। সম্প্রতি ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিতে কাজ করেছি। এখনো বেশ কিছু অংশের কাজ বাকি। এই ছবিতে পাবর্তী চরিত্রে অভিনয় আমার কাছে একটি স্বপ্নপূরণের মতো। কারণ ছোটবেলা থেকেই দেবদাস উপন্যাসের এই চরিত্রটি আমার প্রিয়। এ ছাড়া অচিরেই ‘টান’ ছবির কাজ শুরু করব। এটিও নারীপ্রধান গল্পের। আমাকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে। একটি চরিত্র খুবই ছটফটে মেয়ের, অন্যটি মানসিক বিকারগ্রস্ত একটি মেয়ের। সম্পূণর্ দুটি আলাদা চরিত্র একই ছবিতে ফুটিয়ে তোলা ভীষণ কঠিন। তবে আমি সুবিচার করার চেষ্টা করছি। নায়ক আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে... সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আমাকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। যার সারসংক্ষেপ হলোÑআমার যে মেধা আছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি। তার মতো বড় মাপের শিল্পী আমার মতো ক্ষুদ্র একজন শিল্পীকে নিয়ে যে মূল্যায়ন করেছেন সেটিই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। কিন্তু আমার মেধা বিকশিত করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে পরিচালকদের ভ‚মিকাই মুখ্য। আমি দুভার্গা যে জহির রায়হান, সুভাস দত্ত, সত্যজিৎ রায়দের মতো গুণী নিমার্তাদের পাইনি। পেলে হয়তো আরও ভালো কিছু করতে পারতাম। তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, শাবানা, ববিতার মতো শিল্পীদের কাছ থেকেই একটু একটু করে শিখে এতদূর এসেছি। ঈদ আয়োজন... চলচ্চিত্রে ব্যস্ততার কারণে এবার ঈদের কোনো নাটকে শুটিং করতে পারিনি। তবে একাধিক টিভি চ্যানেলে সেলিব্রেটি টকশোতে আমাকে দেখা যাবে।