নায়করাজের জন্মদিন আজ

চিত্রপুরীতে নানা আয়োজন

বাংলা চলচ্চিত্রের মহান পুরুষ প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে তার পরিবার ছাড়াও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। দোয়ার আয়োজন, এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করবে তার পরিবার। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে পৃথকভাবে দোয়ার আয়োজন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। এদিকে প্রয়াত নায়ক রাজ রাজ্জাককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তার সহকর্মীরা। যাদের সঙ্গে কেটেছে তার চলচ্চিত্রের দীর্ঘসময়।

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজ্জাক
সত্যিই তিনি বড় মনের মানুষ ছিলেন : সুজাতা বহু চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের সঙ্গে কাজ করেছি। এত বন্ধুসুলভ আচরণ আর কারো মাঝে আমি সেভাবে পাইনি। সব সময়ই তিনি কাজের প্রতি এত সিরিয়াস ছিলেন যে সেই কাজই তাকে আসলে নায়ক রাজে পরিণত করেছে। আমার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্রেও তাকে নিয়ে কাজ করেছি। তিনি সত্যিই বড় মনের একজন মানুষ ছিলেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। আলস্নাহ যেন তাকে ভালো রাখেন। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে জানতেন : সুচন্দা জহির রায়হানই তাকে নায়ক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন 'বেহুলা' চলচ্চিত্রে। আমিই তার প্রথম নায়িকা। আমার প্রথম ছবি ছিল সুভাষ দত্তের 'কাগজের বউ'। যাই হোক 'বেহুলা' ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক মাইলফলক চলচ্চিত্র। প্রথম চলচ্চিত্রেই নায়করাজ রাজ্জাক সফলতা পেয়েছিলেন। যে কারণে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার সঙ্গে অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে জানতেন তিনি। আদ্যোপান্ত একজন অভিনেতা বলে তিনি প্রয়াত আহমেদ জামান চৌধুরীর কলম থেকে 'নায়করাজ' উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি বেঁচে থাকতে আমরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতাম, বাসায় যেতাম। কিন্তু আজ তিনি নেই, ভাবতে খুব খারাপ লাগে। আপাদমস্তক পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন : শবনম আপাদমস্তক একজন পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন নায়ক রাজ। মনে-প্রাণে একজন শিল্পী ছিলেন। যে কারণে অনেক কষ্ট করে নিজের অভিনয় সত্তা দিয়ে তিনি নিজেকে এমন একজন নায়কে পরিণত করতে পেরেছিলেন। আমরা তাকে নায়করাজ উপাধিতে ভূষিত করতে বাধ্য হয়েছি। মানুষ হিসেবে তিনি খুব চমৎকার মনের একজন মানুষ ছিলেন। চলচ্চিত্রের অভিভাবক ছিলেন : ফারুক সবসময়ই তাকে বড় ভাই হিসেবে জেনেছি। বিপদে আপদে তাকে সবসময়ই পাশে পেয়েছি। এটা ভীষণ সত্যি যে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি এমনভাবে জড়িয়ে আছেন যে তাকে ছাড়া বাংলা চলচ্চিত্র কল্পনাই করা যায় না। একজন নায়করাজ রাজ্জাক আমাদের চলচ্চিত্রের অহঙ্কার। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কাল তার জন্মদিন কিন্তু তিনি নেই। প্রতিটি মানুষকে পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে কিন্তু কিছু মানুষের চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবতেন। চলচ্চিত্রের অভিভাবক ছিলেন। তার শূন্যতা কোনো কালেই পূর্ণ হবে না। কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন চিরকাল : ববিতা রাজ্জাক ভাই আমাদের পরিবারেরই একজন মানুষ ছিলেন। আমাদের পরিবারের সঙ্গে তার আজীবন আত্মার সম্পর্ক ছিল। বড় ভাই, পিতৃতুল্য হিসেবে ছিলেন তিনি। সেই ছোটবেলা থেকে তার সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। আমার সত্যিই সৌভাগ্য যে নায়ক হিসেবে তাকে আমি পেয়েছি। আমাকে সবসময়ই স্নেহ করতেন। আমাদের বাংলা সিনেমার গর্ব তিনি, তিনি কিংবদন্তি। রাজ্জাক ভাই নেই কিন্তু তিনি তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। কখনো পেছনে তাকাতে হয়নি : আলমগীর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে যখন আলোচনা হয় তখন নিঃসন্দেহে রাজ্জাক ভাইয়ের কথাও আলোচনায় আসে। এ দেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস রচিত হলে তার নাম বিশাল একটি স্থান দখল করে নেবে- এটাই স্বাভাবিক। তার প্রতিভা এবং ভাগ্য চলচ্চিত্রে এতটাই সহায়ক ছিল যে, তাকে কখনোই পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যে কারণে তিনি কিংবদন্তি। জন্ম দিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।