এবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় 'ইত্যাদি'

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থানসমূহে গিয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি ধারণ করা হয়। এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। জেলার তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত ১৭ জানুয়ারি সাজানো হয়েছিল ইত্যাদি মঞ্চ। উপস্থিত ছিলেন লক্ষাধিক দর্শক। অনুষ্ঠানস্থলে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বিকেলের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ আশপাশের গাছ, স্কুলের ছাদ ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেছেন ইত্যাদির নান্দনিক সব পর্ব। ইত্যাদির এই ধারণ অনুষ্ঠান চলে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। পঞ্চগড়ের ইতিহাস, ঐতিহ্যর পাশাপাশি এবার রয়েছে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোর উপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। দেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর-রকস্‌ মিউজিয়াম এবং পঞ্চগড়ের সমতলে চা চাষের উপর রয়েছে দু'টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। স্নায়ুবিক বিকাশগত সমস্যায় আক্রান্তদের উপর রয়েছে একটি মানবিক ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রতিবেদন। রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিক্ষানুরাগী সুখী আক্তারের জীবন সংগ্রামের উপর একটি হৃদয়স্পর্শী প্রতিবেদন। বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে বার্সেলোনায় পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান মিউজিয়াম অব ইলুউশন-এর উপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন। পঞ্চগড় জেলা ও তেঁতুলিয়ার উলেস্নখযোগ্য কিছু বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুর ও মেহেদীর সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ার প্রায় দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কমল, তানজিনা রুমা, শুক্লা, কৃষ্ণা ও রিয়াদ, নৃত্য পরিচালনা করেছেন সাথী গাঙ্গুলী ও তিলোত্তমা দাস। নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থানকে ঘিরে রয়েছে দর্শকপর্র্ব। দীর্ঘদিন বিদেশি টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করলেও দেশের কোনো টেলিভিশন পর্দায় এই প্রথম জাদু দেখাবেন রাজিক। এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু নাট্যাংশ। আগামী ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে ইত্যাদি।