অভিনয় থেকে দূরে মিথিলা

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা
পশ্চিমবাংলার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে গত বছর গাটছাড়া বাঁধার পর অভিনয় থেকে দূরে আছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। নতুন সংসার, পিএইচডি ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা ও চাকরির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অভিনয়ের জন্য সময় বের করতে পারছেন না এ অভিনেত্রী। অবশ্য আগেও নিয়মিত অভিনয় করতেন না। বিশেষ দিবস এলে বাড়ত তার কাজের জোঁ। এখন সে অবস্থাও নেই। সামনেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। নাট্যপাড়ায় এ দিবসকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে শতাধিক নাটক। সমসাময়িক অভিনেত্রীরা কাজ করছেন দিন-রাত এক করে। কেবল দেখা নেই মিথিলার। আজ কলকাতায়, কাল বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায়, এনজিওর কাজে- এভাবেই চলছে তার চলমান সময়। তো ব্যস্ততার মাঝে আলাদা করে কাউকে শিডিউল দেওয়া তার পক্ষে সম্ভবও নয়। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বলেছেন, 'সবকিছু মিলিয়ে আগের মতো অভিনয়ে সময় দিতে পারছি না। তাই আপাতত অভিনয় থেকে দূরে আছি।' অপরদিকে ধারাবাহিক বা খন্ডনাটকে অভিনয় না করলেও মিথিলা নিয়মিত আছেন টিভি বিজ্ঞাপন ও উপস্থাপনায়। তার উপস্থাপনায় বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে 'আমার আমি' নামের একটি অনুষ্ঠান। এতে প্রতিটি পর্বে বিশেষ দুজন তারকাকে অতিথি করে আনা হয়। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নানা ধরনের গল্প করেন মিথিলা। আর কদিন আগেই সচেতনতামূলক একটি টিভি বিজ্ঞাপনেও পাওয়া গেছে মিথিলাকে। সবকিছু ঠিক থাকলেও অভিনয়েই কেন নেই এ অভিনেত্রী? এ নিয়ে নানা জনের নানা মত। কেউ কেউ বলছেন, সৃজিতের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে ও নাট্য নির্মাতা ফাহমির সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় কোনো পরিচালকই তাকে নাটকে নিতে চাইছেন না। যদিও এ বিষয়ের সতত্যা যাছাই করা যায়নি। অবশ্য এর আগে বহুবার মিথিলা বলেছেন, 'আমি চাকরি করি। সময় পেলে এবং গল্প ভালো লাগলে নাটকে কাজ করি। আর বিশেষ দিনগুলোতেই কাজ করা হয় বেশি।' বর্তমানে মিথিলা ব্রাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত এগারো বছর ধরে মিথিলা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশে তিনি শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়েই তার মূল কাজ। বাংলাদেশেও তিনি নারী ও শিশু অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখ। এর পাশাপাশি মিথিলার লেখালিখিরও অভ্যাস রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা দু'টি বই, 'স্কুলের প্রথম দিন' এবং 'লাল বেলুন'। এতকিছুর মধ্যেও মিথিলা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ব্যক্তিগত জীবনের নানাবিধ কর্মকান্ড নিয়ে। প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে গত বছর ছিলেন আলোচনার হট কেক। তবে প্রতিটি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন বুদ্ধিদীপ্তভাবে। জবাব দিয়েছেন কড়া ভাষায়। এদিকে অনেক লুকোচুরির পর শেষমেশ ৬ ডিসেম্বর সৃজিতের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বিয়ের পনের দিনই মধুচন্দ্রিমা সেরেছেন সুইজারল্যান্ডে। বিয়ের পর কখনো মিথিলা আবার কখনো সৃজিত পালা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ছবি উঠিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সুখেই আছেন তারা। কখনো কখনো আবার ছবির ক্যাপশনে লিখছেন ছড়া-কবিতা, কখনো বা গানের লাইন। কদিন আগেই সৃজিতের কাঁধে মাথা রেখে মিথিলা ছবি উঠিয়েছেন ইনস্টাগ্রামের হ্যান্ডেলে। আর ক্যাপশন দিয়েছেন 'পঁ্যাচা কয় পঁ্যাচানী/ খাসা তোর চঁ্যাচানি/ শুনে শুনে আন্‌?মন/নাচে মোর প্রাণমন...! পুরো ছড়াটিই লিখেছেন মিথিলা। কম জান না সৃজিতও। মিথিলার ছবির পোস্ট করে তিনিও লিখেছেন, 'জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোক লোকান্তরে যুগযুগান্তর/ তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে।/নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।'