সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত তারকারা

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
নির্বাচনী প্রচারণায় তারকারা
আর মাত্র একদিন। কাল বাদে পড়শু ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নিয়ে রাজধানী এখন সরগরম। ইতোমধ্যে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি। প্রচারের অংশ হিসেবে চলছে মাইকিং, গান, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ। প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা সমর্থকদের নিয়ে করছেন মিছিল-মিটিং। ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচন ঘিরে মুখরিত হয়ে উঠেছে শোবিজাঙ্গনও। ভোটের মাঠে সময় দিচ্ছেন তারকারাও। নির্বাচনে রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি প্রচারণায় বেশ সরব দেখা গেছে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদেরও। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন নাটক-সিনেমার অনেক তারকা। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন তারা। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। সম্প্রতি তার হয়ে বড় পর্দার একঝাঁক তারকা মাঠে নামেন। এই তালিকায় রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, ডিপজল, নায়ক রুবেল, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, তারানা হালিম। ফেরদৌস, রিয়াজ, রোজিনা, আজমেরী হক বাঁধন, অরুণা বিশ্বাস, রোকেয়া প্রাচী, শাহনূর, জয় চৌধুরী, আলেক জান্ডার বোসহ অনেকে। সম্প্রতি ফার্মগেটে আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে আতিকুল প্রচারণা শুরু করেন। এ সময় আতিকুলের সঙ্গে ছিলেন তারকারাও। তারাও আতিকুলের পক্ষে ভোট চান। তারকারা আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ফার্মগেট আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু করে হলিক্রস স্কুল, ছাপড়া মসজিদ, লুকাস রেলগেট, নাবিস্কো, কুনিপাড়া, বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও এলাকায় গণসংযোগ চালান। সম্প্রতি মিরপুরের কাফরুল এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুলকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এদিকে ঢাকার দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস। সম্প্রতি তার হয়ে মাঠে নামেন ছোট পর্দার একঝাঁক তারকা শিল্পী। এই তালিকায় রয়েছেন শমী কায়সার, সুইটি, মাজনুন মিজান, সাঈদ বাবু প্রমুখ। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও তারকাদের প্রত্যাশা একটি সুন্দর নগরীর। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, 'ঢাকা শহরের সড়ক, ফুটপাত, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজগুলো সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। নতুন মেয়র যিনি হবেন তার কাছে এ প্রত্যাশা। গেল বছর মশা যে হারে মানুষকে যন্ত্রণা দিয়েছে, তা বলার মতো নয়। যিনি মেয়র হবেন- তিনিই এদিকে বিশেষভাবে নজর দেবেন।' আরেক অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, 'শিশু-কিশোরদের জন্য অনেক বেশি খেলার মাঠ তৈরি করে দেবেন নতুন মেয়র। সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র তৈরি করা উচিত। প্রযুক্তির বাহুল্যকে কীভাবে জীবন থেকে বাদ দিতে পারি, তা ভাবতে হবে। এ বাহুল্য তখনই বাদ দিতে পারব, যখন শিশুদের প্র্যাকটিক্যালি এনগেজড করতে পারব। নতুন মেয়র অবশ্যই উন্নয়ন করবেন- তা শুধু অবকাঠামোগত নয়, সামাজিকও যেন হয়।' চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, 'ঢাকা শহর যেহেতু দেশের প্রাণকেন্দ্র, সুযোগ-সুবিধা বেশি, তাই সারাদেশের মানুষ ঢাকামুখী। ঢাকায় যানজট দিন দিন করুণ হচ্ছে। এদিকটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, নতুন দুই মেয়র আলোচনা করে সমাধান বের করবেন বলে আশা করছি।' অভিনেত্রী দীপা খন্দকার বলেন, 'এমন রাজধানী চাই, যেখানে শিশুরাসহ সবাই নিরাপদ হয়।' তবে চিত্রজগতের এ তারকাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়াকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না সিনেমাপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার ছবি ছড়িয়ে পড়লে সিনেমাপ্রেমীরা সেখানে অসংখ্য মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, চলচ্চিত্রের শিল্পীরা সবার। তারা যদি দলীয়ভাবে অন্যের জন্য ভোটের প্রচারণা করেন সেটি সত্যিই দুঃখজনক। সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিনেমার নায়ক-নায়িকারা থাকবেন তাদের গন্ডির মধ্যেই। তারা রাজনৈতিক প্রচারণায় গিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছেন। দর্শকরা ধারণা করছেন হাতে নাটক সিনেমার কাজ নেই তাই তারা ক্যারিয়ারের জন্য প্রচারণায় যাচ্ছেন।