চলচ্চিত্রেই ব্যস্ত বন্যা মির্জা

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
বন্যা মির্জা
আবারও চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। সম্প্রতি 'ঘর গেরস্তি' শিরোনামে নতুন একটি চলচ্চিত্রের কাজ সম্পন্ন করলেন তিনি। এ ছাড়াও তার হাতে আছে একাধিক ছবির কাজ। বন্যার মতে, 'গত তিন বছর ধরে একটি করে চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। সামনের দিনগুলো এভাবেই চলবে। বছরে কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্রের কাজের পরিকল্পনা নিয়েছি। আর সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।' এদিকে গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি 'ঘর গেরস্তি'র শেষ লটের কাজ সম্পন্ন হয়। এটি পরিচালনা করেছেন মাসুদুর রহমান রামিম। অভিনেত্রী বন্যা মির্জার সঙ্গে এ ছবিতে পর্দা ভাগাভাগি করেছেন আরমান পারভেজ মুরাদ। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে 'ঘর গেরস্তি' চলচ্চিত্রটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন আকরাম খান। তার আগে তিনি আজিজুল হকের 'খাঁচা' ছোটগল্প থেকে একই শিরোনামের ছবি পরিচালনা করে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ছবিটি প্রসঙ্গে বন্যা মির্জা বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক হিন্দু পরিবারের চিত্র এতে উঠে এসেছে। যারা যুদ্ধের সময় এলাকা থেকে চলে যায়। যুদ্ধ শেষে আবার ফিরে আসে। এই যে চলে যাওয়া ও ফিরে আসা- এটি উঠে আসবে চলচ্চিত্রটিতে।' জানা গেছে, ছবিটির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টার কিছু সময় বেশি। ছবিটিতে হিন্দু পরিবারের নানা ধরনের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় ও সামাজিক অবস্থাও উঠে এসেছে। এতে অভিনয়ের জন্য শিল্পীদের কালো মেকআপ করতে হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার টানাপড়েন তুলে ধরার। এ বিষয় নির্মাতা জানান, 'ছবিটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এখন মুক্তির প্রস্তুতি চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই মুক্তি পাবে।' এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে এ অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী বন্যা মির্জাকে নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ দেখা গেছে মাসুদ আখন্দের পরিচালনায় 'পিতা' চলচ্চিত্রে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ছবিটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এদিকে, একটা সময় টিভি পর্দায় রাজস্বিক পদচারণা ছিল বন্যার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশনে তার উপস্থিতি কমেছে উলেস্নখযোগ্য হারে। এরই ফাঁকে তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপস্থাপনা ও অভিনয় শিল্পী সংঘ নিয়ে। পরপর দুবার নির্বাচিত হয়েছেন শিল্পী সংঘের কমিটির সদস্য হিসেবে। কথা বলেন এ প্রসঙ্গেও। বন্যা বলেন, 'সহকর্মীদের প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ, আমাকে এমন দায়িত্ব পালনে সুযোগ দেওয়ার জন্য। প্রথম থেকেই বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এ কমিটি কাজ করছে। তার মধ্যে শিল্পীদের এককালীন ভাতা, চিকিৎসা ব্যয় কমানোর জন্য হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা অন্যতম। এসব বিষয় অনেকদূর এগিয়েছি। শিল্পীরা সামনে এর সুফল পাবেন।' বন্যার সবকিছু একদিকে আর মঞ্চনাটক অন্যদিকে। শুরু থেকেই নিয়মিত কাজ করছেন মঞ্চে। প্রতি মাসেই থাকে বিভিন্ন নাটকের মঞ্চায়ন। এ প্রসঙ্গে বন্যা বলেন, 'অভিনয়টাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসি। তাই মঞ্চে নিয়মিত। বলতে গেলে মাসের ত্রিরিশ দিনই মঞ্চের সঙ্গে কাটাই। নিত্য নতুন নাটক নিয়ে কাজ করি। আমার কাছে সব সময় মনে হয়, অভিনয়ের শিকড় হচ্ছে মঞ্চ। মঞ্চে অভিজ্ঞতার শেষ নেই। পাশাপাশি এটিও সত্য, টেলিভিশন নাটকে কাজ কম করছি। কখনো সময় মিলে না, কখনো চিত্রনাট্য মনে ধরে না। তারপরেও টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি।'