সাক্ষাৎকার

গানে গানেই কাটবে আগামীর দিনগুলো

সংগীতাঙ্গনে বর্তমান সময়ে যে কজন কণ্ঠশিল্পী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আঁখি আলমগীর। গত কয়েক বছর ধরেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন কনসার্ট করে আসছেন তিনি। পাশাপাশি নতুন গান ও পেস্নব্যাক নিয়েও বেশ ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তাকে। গত বছর শেষেরদিকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পর নতুন কোনো গান করতে দেখা যায়নি তাকে। রোববার প্রকাশ হলো তার গান। কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নতুন বছরের প্রথম গান... গানের শিরোনাম 'তোমারই কারণে'। এটিই আমার এ বছরের প্রথম কোনো গান। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হলো গানটি। অনুরূপ আইচের লেখা ও ফাবির তাজ তন্ময়ের সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন শাহরিয়ার রাফাত। গানটিতে প্রয়াত বেলাল আহমেদ পরিচালিত 'নয়নের আলো' সিনেমার 'আমার বুকের মধ্যিখানে মন যেখানে হৃদয় যেখানে' গানের ছায়া রয়েছে। গানটির মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক, মডেল আসিফ ইমরোজ ও আরিয়ানা। অনেক প্রত্যাশা গানটি ঘিরে... গানটিতে ভয়েজ দেবার সময়ই গানটির কথা, সুর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে এবং আমার বিশ্বাস ছিল গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে। অনেক বিশ্বাস ও প্রত্যাশা আমার এই গানকে ঘিরে। সময় গেলে গানের সাড়া মিলবে আশা রাখি। তবে আমার ব্যস্ততার কারণে গানটির মিউজিক ভিডিওতে থাকতে পারিনি। গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। স্টেজ শো নিয়েই বেশি ব্যস্ত... বর্তমানে স্টেজ শো নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় কাটছে। ভালোবাসা দিবসে অনেকগুলো স্টেজ শো করেছি। আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও গান গাইতে হবে। এ মাসেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি কনসার্ট আছে। বলতে পারেন, গানে গানেই কাটবে আগামীর দিনগুলো। গত বছরটি সুখকর ছিল... নানা কারণেই গত বছরটি ছিল সুখকর। গত বছরের মার্চ মাসে প্রকাশিত 'ল্যায়লা' গানটি এরই মধ্যে সাত লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। গানটি লিখেছেন প্রসেনজিৎ মুখার্জি। সুর সংগীত করেছেন অম্স্নান। আবার 'একটি সিনেমার গল্প' সিনেমাতে পেস্নব্যাকের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। তাছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি গত বছর। কখনও কাউকে ঠকাইনি... যে কাজটা করি কিংবা এতদিন করেছি- খুবই নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে করেছি। কখনোই দর্শকদের ঠকাইনি, আয়োজককে ঠকাইনি, নিজেকেও নিজে ঠকাইনি। পেশাদারিত্ব ছিল, আছে- এটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমার কোনো অর্জনে আনন্দ হয়, কিন্তু বড় করে দেখিনি। আমি মনে করি, এর বাইরেও জীবন আছে, সুখে থাকার আরও অনেক অনুষঙ্গ আছে।