একুশ নিয়ে মিমির অন্যরকম আয়োজন

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
দেশীয় নাট্যাঙ্গনের অন্যতম অভিনেত্রী ও নাট্যনির্দেশক আফসানা মিমির আহ্বানে ২০ ফেব্রম্নয়ারি রাত্রি উদযাপনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর উত্তরার রবীন্দ্র স্মরণীতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো 'ফিরে দেখা অমর একুশ' উপদযাপন। মাত্র তিন দিনের পরিকল্পনাতেই আফসানা মিমির এই অহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুক, সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা, একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেত্রী দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, ওয়াহিদা মলিস্নক জলি, মোশাররফ করিম, অশোক ব্যাপারী, তারকা জুটি শাবনাজ-নাঈম, তাহমিনা সুলতানা মৌ, সুষমা সরকার, শ্যামল মাওলা, মাহাদিয়াসহ আরও অনেকে। আফসানা মিমিকে এই উদ্যোগে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন লিটন কর। মূলত ২০ ফেব্রম্নয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আল্পনা আঁকাই ছিল এই 'ফিরে দেখা অমর একুশ'র মূল কাজ। এর পাশাপাশি একুশের গান গাওয়া, কবিতা আবৃত্তি করা, একুশের ইতিহাস জানাও ছিল এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। আফসানা মিমি জানান, তার 'ইচ্ছেতলা'র ছেলে-মেয়েরা প্রথম একুশের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে 'ফিরে দেখা অমর একুশ' উদযাপন শুরু হয়। এরপর উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরের অভিভাবকেরা তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আসেন আল্পনা আঁকায় অংশগ্রহণের জন্য। আফসানা মিমি বলেন, 'মূলত আগামী প্রজন্মের মধ্যে একুশের চেতনা ছড়িয়ে দিতেই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। ছোট ছোট বাচ্চারা, শিশুরা আল্পনা আঁকতে এসে একুশের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে, নিজেদের সমৃদ্ধ করবে এটাই মূল বিষয়।' মিমি বলেন, 'এই যুগের বাচ্চারা খালি পায়ে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে হাঁটবে- এটা তারা ভাবতেই পারে না। অথচ আমরা যখন ছোট ছিলাম আমরা খালি পায়ে শহিদ মিনারে যেতাম, জাতীয় পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতাম। সেখান থেকেই আসলে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়েছে। সেই দেশপ্রেম এই সময়ের শিশুদের মধ্যে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। আমি, আমরা সবাই মিলে এই কাজটা করতে চাই। রাজধানীর উত্তরায় দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে, সংস্কৃতি দিবসে আমরা বিশেষ কিছু করতে চাই। শুধু যে সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিরা এখানে অংশগ্রহণ করবেন এমনটি নয়, সংস্কৃতিমনষ্ক যে কেউ এতে অংশ নিতে পারেন। তাতে আমাদের মধ্যে একটা আত্মিক বন্ধনের সৃষ্টি হবে।' মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,' আফসানা মিমির এই উদ্যোগটি এক কথায় অসাধারণ। এখানে একুশের প্রথম প্রহর উদযাপন এবং সবার অংশগ্রহন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি আশা করব আগামীতে আরও অনেক বেশি সাড়া ফেলবে মিমির উদ্যোগে ফিরে দেখা অমর একুশ।' অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন স্বাগতা।