সাক্ষাৎকার

সবাই সচেতন থাকলে বিপদ কেটে যাবে

সংগীতাঙ্গনের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে গান গেয়ে চলেছেন তিনি। বছরজুড়ে কনসার্ট নিয়ে তার ব্যস্ততা থাকলেও করোনার প্রভাবে বাতিল হয়ে গেছে তার অনেক প্রোগ্রাম। কনসার্টের এই শিল্পীর এখন সময় কাটছে বাসায়। তার সঙ্গে কথা বলেছেন- মাসুদুর রহমান

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আঁখি আলমগীর
বন্দিজীবন... সরকারি নির্দেশনা আসার আগে থেকেই আমি সন্তানদের নিয়ে বাসায় বন্দিজীবন কাটাচ্ছি। ওদের স্কুল বন্ধের ৫ দিন আগে থেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এতে যদি এক বছর নষ্টও হয়ে যায় তাতেও আমার আপত্তি ছিল না। পরে তো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। যতটুকু না হলেই নয়, এছাড়া ১০/১২ দিন হবে আমি বাসা থেকে বাইরে বের হই না। একেবারেই বাসা থেকে বের হই না তাও প্রায় সপ্তাহ খানেক হবে। এই বন্দিজীবন শুরুর আগে আমি আমার বাবা ও মা'র সঙ্গে দেখা করে এসেছি এবং তাদের বলে রেখেছি আমি আর বাসা থেকে বের হব না। যেভাবে কাটছে সময়... বাচ্চাদের সময় দিচ্ছি। ওদের পছন্দের খাবার রান্না করছি। ঘরের কাজ করছি। নিয়মিত নামাজ পড়ছি। যদিও আমি বাসায় থাকলে আগে থেকেই নিয়মিত নামাজ পড়তাম। বাইরে গেলে নামাজ পড়া সম্ভব হতো না। বিকালের দিকে একটু ছাদে যাই। এছাড়া টিভি দেখে এবং ভালো না লাগলে কখনো কখনো ফেসবুকে ঢুকি। আগে ইচ্ছে করলেই ঘর হতে বের হওয়া যেত, কিন্তু এখন নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঘরে থাকাটা কঠিন। ফেসবুক লাইভে... হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকে লাইভে এসেছিলাম। দেশ বিদেশের ২ লাখ ফলোয়ার লাইভে ছিল। সবাইকে আমি করোনার সচেতনতা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছি। ভয় না পেয়ে সতর্ক হওয়ার কথা বলেছি। এই রোগে আক্রান্ত হলেও সাহস রাখতে হবে। কারণ আক্রান্ত হলেই যে মৃতু্য নিশ্চিত তা কিন্তু নয়। অনেক আক্রান্তও ভালো হচ্ছেন করোনা থেকে। কনসার্ট বাতিল... চলতি মার্চ মাসে আমার ১৪টি কনসার্ট ছিল। এরমধ্যে প্রথম সপ্তাহে কয়েকটি প্রোগ্রাম করেছিলাম। বাকি ১১টি কনসার্ট বাতিল হয়ে যায়। এপ্রিলে ছিল ১৫টি কনসার্ট। এর মধ্যে দেশের বাইরে দুবাই ও কানাডাতেও কনসার্ট ছিল। সবগুলো প্রোগ্রাম বাতিল হয়ে যায়। এতগুলো প্রোগ্রাম বাতিল হওয়াতে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। আমার মতো অনেকশিল্পীর অনেক কনসার্ট বাতিল হয়েছে। নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা... আমার কেন যেন মনে হচ্ছে করোনা আমাদের দেশের জন্য ততটা মহামারি হবে না। সবাই সচেতন থাকলে আমরা এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারব। ইতোমধ্যে সরকার যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। ঠিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছেন মানুষও অনেক সচেতন। কেউ ভাবেনি সরকার এত দ্রম্নত এভাবে সবকিছু বন্ধের সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে আরও আগে ফ্লাইট বন্ধ করে দিলে ভালো হতো।