সাক্ষাৎকার

১১ দিন ধরে বাসায় আছি

অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ছোটপর্দার ব্যস্ত মুখ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শুটিং বন্ধ থাকায় বাসাতেই আছেন। সময় কাটাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফিরবেন শুটিং স্পটে। এসব নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাবিলা নূর
এই অবসরে ... বাসায় আছি। বই পড়ছি। সিনেমা দেখছি। অনলাইন থেকে কিবোর্ড বাজানো শিখছি। নতুন একটি ভাষাও আয়ত্ব করার চেষ্টা করছি। আর নিয়মিত নামাজ পড়ছি। কাজ স্থগিত... ইতিমধ্যেই ঈদ নাটকের শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভালোবাসা দিবসের পরপরই ঈদের জন্য দুটি নাটকের কাজও করেছি। এ মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখ তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে কাজ হওয়ার কথা ছিল। পরে তাহসান ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করল, এ মুহূর্তে কাজ করা ঠিক হবে না। কাজটা পিছিয়ে দেওয়া হলো। এরপর ১৯ তারিখ সব ধরনের শুটিং বন্ধ ঘোষণা করা হলে একে একে সব কাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়। হিমশিম খাওয়া ... চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা শিডিউল দেওয়া ছিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আপতত সব কিছুই স্থগিত রাখা হয়েছে। যদি শিগগিরই পরিস্থিত স্বাভাবিক হয় তাহলে এপ্রিল মাসের কাজের জন্য নতুন করে শিডিউল মেলাতে হবে। শিডিউল মেলাতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হবে। কারণ আমি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শিডিউল দিয়ে রেখেছিলাম। দেখা গেল, এপ্রিলে কোনো কাজ করতে পারলাম না, সে কাজটা করতে হবে পরের মাসে। তখন আবার মে মাসে যাদের শিডিউল দিয়েছিলাম, সেটা নিয়ে বসতে হবে। হয়তো কাজগুলো বাদ দিতে হবে, না হয় পিছাতে হবে। তবে আমার মনে এ পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে কাজের সংখ্যাটা কমে যেতে পারে। দেখা গেল যে পরিচালকের সাতটি কাজ করার কথা, তিনি তিনটি করছেন। কারণ শেষে গিয়ে এতগুলো কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সতর্কতা অবলম্বন ... করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগ থেকেই আমি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করি। এটা সবাই জানেন। আর এখন তো করছিই। বাসার সব কিছু পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি। পরিচিত সবাইকেও তা করতে বলছি। বিশেষ করে বাসা থেকে বেরই হচ্ছি না। টানা ১১ দিন ধরে বাসায় আছি। হয়তো সামনে বের হওয়া লাগতে পারে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটার জন্য। তবে আমার মতে এ মুহূর্তে একেবারে প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়াই ভালো।