করোনায় আক্রান্ত নন চিত্রনায়ক মারুফ

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
কাজী মারুফ
হঠাৎ করেই শনিবার রাতে খবর রটে নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশি চিত্রনায়ক কাজী মারুফ ও তার স্ত্রী রাইসা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মুহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চিত্রপাড়াতেও এর ঝাপটা লাগে। তবে গতকাল রোববার এ খবর উড়িয়ে দিয়েছেন মারুফের বাবা, বিশিষ্ট নির্মাতা কাজী হায়াৎ। অন্যদিকে মারুফও তার সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রোববার কাজী হায়াৎ বলেন, 'আমি আসলে ভুল শুনেছিলাম। আমার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে এবং ছেলের বউ জ্বরের কারণে আইসোলেশনে আছে। সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন।' কাজী হায়াৎ আরও বলেন, 'মারুফের শাশুড়ি শনিবার আমাকে জানিয়েছিলেন, তাদের জ্বর হয়েছে। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। গত রাতে মারুফের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ, কিন্তু ওর স্ত্রী সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে আইসোলেশনে আছে। মারুফ জানিয়েছে, পুত্রবধূর জ্বর হয়েছে।' মারুফ জানান, সে ও তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। মারুফ বলেন, 'নিউইয়র্কে এখন হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আমার স্ত্রী রাইসার জ্বর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে স্ত্রীর জ্বরের কারণে এমনটা ছড়িয়েছে।' মারুফ বলেন, 'নিউইয়র্কে আমার পরিচিত অনেকে এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক স্থানীয় সময়) নিজের জ্বর শুরু হওয়ায় রাইসা ভীত হয়ে পড়ে। আমার শাশুড়িকে খবরটি জানায়। হয়তো আমার শাশুড়ির কাছ থেকে বাবা (কাজী হায়াত) খবরটা জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সবাইকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আমাদের তেমন কিছুই হয়নি।' নিউইয়র্কের রিচমন্ড হিল এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন কাজী মারুফ। জানালেন, দুই সপ্তাহ ধরে সন্তানদের স্কুল বন্ধ। বড় ধরনের প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তারা কেউ। জ্বরের কারণে সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে আইসোলেশনে আছেন রাইসা। মারুফ জোর দিয়ে বলেন, 'এটা ঠিক যে আমার স্ত্রী জ্বরে আক্রান্ত। তবে তা এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নয়। আমি শতভাগ সুস্থ আছি। আলস্নাহর রহমতে এখন পর্যন্ত আমার কোনো সমস্যা নেই।' 'ইতিহাস' সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন পরিচালক কাজী হায়াতের পুত্র কাজী মারুফ। অ্যাকশনধর্মী সিনেমার জন্য তিনি পরিচিতি লাভ করেন। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেই তিনি অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর 'অন্ধকার', 'রাস্তার ছেলে', 'বস্তির ছেলে কোটিপতি', 'দারোয়ানের ছেলে', 'দেহরক্ষী', 'ইভটিজিং', 'সর্বনাশা ইয়াবা'সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।