সা ক্ষা ৎ কা র

চলচ্চিত্রের কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না

মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ঢাকাই চলচ্চিত্রে তিনি ডিপজল নামেই পরিচিত। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায় জড়িত শক্তিমান এ অভিনেতা। পর্দা কাঁপানো এ মানুষটি বাস্তব জীবনে পুরোটাই অন্যরকম। উদার ও জনদরদী মানুষ বলেও পরিচিত তিনি। বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। এবারও করোনার প্রভাব মোকাবিলায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বল্প আয়ের শিল্পী ও সাধারণ মানুষের প্রতি। কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মনোয়ার হোসেন ডিপজল
আমি আছি... চলচ্চিত্রের কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না। যতদিন আমি আছি, আমার সাধ্য আছে; ততদিন আমি সহযোগিতা করে যাব। এটা বলারও বিষয় নয়। মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহজ বিষয় নয়। এ সক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা সবাইকে দেন না। অনেকের সক্ষমতা থাকলেও মানুষের পাশে দাঁড়ান না। তবে আমি, চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। যদিও কাকে কীভাবে সহযোগিতা করছি, সেসব নিয়ে আমার ফলাও করে প্রচার করতে ভালো লাগে না। নীরবেই করছি... সহযোগিতার কাজটি এবারও নীরবেই করছি। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের পাশে দাঁড়ানো বা কাউকে সহযোগিতা করার বিষয়টি গোপনেই করতে হয়। ধর্মীয়ভাবেও বলা আছে, ডান হাতে সাহায্য করলে বাম হাতও যেন না জানে। কাউকে জানিয়ে সাহায্য করার অর্থ হচ্ছে নিজেকে জাহির করা। এটা মোটেও উচিত নয়। তাই আমি বরাবরই এসব গোপন রাখি। শুধু যারা সহযোগিতা পান, তারাই জানেন। আর জানে আশপাশের মানুষ। পাশে দাঁড়ানো উচিত... বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সাভার, আমার নিজ এলাকায় কিছু মানুষের ঘরে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছি। করোনাভাইরাস সংকট না কাটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। এই দুর্যোগে সামর্থ্যবানদের উচিত অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো। চারটি ছবি আসছে... খুব শিগগিরই আমার প্রযোজনায় নতুন চারটি ছবি আসছে। এসব ছবিতে অমার অভিনয় করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটি পরিচালনা করবেন শাহিন সুমন। বাকি তিনটির পরিচালকের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। দেশীয় ছবির সংকট... আমি চাই না দেশের সিনেমা হলগুলোতে আমদানি করা ছবি চলুক। কিন্তু হলগুলোতে তো দেশি ছবির সংকট। তাই আমদানি করে ছবি চালাচ্ছেন হল মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে নিজের দিক থেকে যতটা চেষ্টা করার দরকার করছি।