জয়ার ব্যতিক্রমী উদাহরণ

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
জয়া আহসান
জয়া আহসানের কুকুরপ্রীতির কথা কারও অজানা নয়। নিজের ঘরেও কুকুর পোষ্য আছে তার। তাকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সারাদিন ছবি উঠিয়ে নানা ঢঙের ক্যাপশন জুড়ে দেন এ অভিনেত্রী। তবে এবার দেখা গেল ভিন্নচিত্র। করোনাভাইরাসের প্রকোপে অভুক্ত থাকা রাস্তার কুকুরের মুখেও খাবার তুলে দিলেন জয়া আহসান। মূলত রাস্তায় মানুষের আধ-খাওয়া ছুড়ে ফেলা খাবার খেয়ে জীবন বাঁচে এসব কুকুরের কিংবা হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার যখন ডাস্টবিনে যায় তখন তাদের পেটে খাবার পড়ে। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে শহর যখন ফাঁকা, রাস্তায় যখন মানুষের ছায়াও পড়ছে না, তখন পথের কুকুরগুলো বাঁচবে কেমন করে আর সে জন্যই হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে এসে কুকুরগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ থেকে টানা কয়েকদিন নিজ হাতে ভাত ও মুরগির তরকারি রান্না করে রাস্তায় নেমে পড়েন জয়া আহসান। মুখে মাস্ক ও হাতে গস্নাভস পরে ঢাকার দিলু রোড, ইস্কাটন গার্ডেন ও মগবাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ানো ২৫ থেকে ৩০টি কুকুরের মুখে খাবার তুলে দেন তিনি। সেসব ছবি এখন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জয়ার এমন উদ্যোগে খুশি হয়ে তার প্রশংসা করছেন অনেকেই। জয়া নিজেও কুকুর পোষেণ। তার পোশা কুকুরটির নাম ক্লিওপেট্রা। বুঝাই যাচ্ছে, পথের প্রাণীগুলোর প্রতিও তার অগাধ মায়া। এদিকে এসব ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল। কেউ কেউ জয়ার ছবি শেয়ার ও আপলোড করে ক্যাপশনে জয়ার প্রশংসা করছেন। অনেকেই আবার বলছেন, মানুষের মতো চারপাশের প্রাণীগুলোরও বাঁচার অধিকার আছে। এ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে তারাও। জয়ার মতো এমন আরও কিছু মানুষ যদি এগিয়ে আসে তাদের পাশে, তাহলে খাবারের অভাবে একটি কুকুরও মরে পড়ে থাকবে না কোথাও। মঈনুল ওয়াজেদ রাজিব নামে একজন লিখেছেন, 'চলমান পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে আছেন অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সড়কের কুকুরগুলো পাচ্ছে না পর্যাপ্ত খাবার। এই অসহায়-অভুক্ত কুকুরগুলোর পাশে তো তেমন কেউ নেই। এ ক্ষেত্রে জয়া আহসান অনন্য উদাহরণ তৈরি হলেন।'