আলমগীরের ৭০তম জন্মবার্ষিকী আজ

ভক্তদের সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
আলমগীর
আলমগীর। একাধারে তিনি অভিনেতা, গায়ক, প্রযোজক এবং পরিচালক। দেশীয় চলচ্চিত্রে তিনিই একমাত্র অভিনেতা, যিনি সবচেয়ে বেশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্রের জীবন্ত এ কিংবদন্তী নায়ক আজ ৭০ বছর পূর্ণ করছেন। ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিনটি নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিপর্যস্ত অবস্থায় তিনি তার সেই পরিকল্পনা থেকে দূরে সরে আসেন। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে তিনি রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসাতেই নিরাপদে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের কারণে আজ আলমগীর তার জন্মদিনে ঘরে বসেই সময় পার করবেন বলে জানালেন তিনি। আলমগীর বলেন, 'দিনটি নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বমানবতা আজ হুমকির সম্মুখীন। আমরা সবাই এমন একটি শত্রম্নর সাথে যুদ্ধ করছি প্রতিনিয়ত, যে শত্রম্নকে আমরা আসলে দেখতে পাচ্ছি না। তাই এই যুদ্ধটা অনেক কঠিন এক যুদ্ধ। যে কারণে আমাদের সবাইকে ঘরে থেকেই নিরাপদে থেকে এই ভাইরাসকে মোকাবেলা করতে হবে। বারবার হাত ধুতে হবে। সরকারের বিধি-নিষেধ আন্তরিকতার সাথে মেনে চলতে হবে। তাহলেই আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারব ইনশাআলস্নাহ। আর আমি সবার জন্য দোয়া করছি, যেন সবাই তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকেন, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমিও আমার পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকি।' আপনার অবস্থান থেকে নিশ্চয়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন এই দুর্যোগে যারা কষ্টে আছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, 'সত্যি বলতে কী, বছরজুড়েই আমি আমার সাধ্যমতো চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্রের বাইরে অনেক মানুষকে সহযোগিতা করে থাকি। আর করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই সহযোগিতা করছি। তবে সহযোগিতা আমি কাকে করি, কীভাবে করি তা জানাতে কখনোই আগ্রহী ছিলাম না, এখনো নই। আমি জেনেবুঝে সাধ্যমত সহযোগিতা করছি। আলস্নাহ তাদের নিশ্চয়ই ভালো রাখবেন, ইনশাআলস্নাহ।' ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীরের জন্ম হয় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার শৈশব-যৌবন কেটেছে তেজগাঁও এলাকায়। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আলমগীর কুমকুম পরিচালিত 'আমার জন্মভূমি' ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ছিল 'দসু্যরাণী'। এরপর তিনি এ পর্যন্ত অনেক ছবিতে কাজ করেন। অভিনেতা হিসেবে তার উলেস্নখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হচ্ছে, ভাত দে, মা ও ছেলে, মায়ের দোয়া, ক্ষতিপূরণ, মরণের পরে, পিতা মাতা সন্তান, অন্ধ বিশ্বাস, দেশপ্রেমিক। এছাড়াও তিনি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে মায়ের অধিকার, সত্যের মৃতু্য নাই, জীবন মরণের সাথী, কে আপন কে পর উলেস্নখযোগ্য। আশি ও নব্বইয়ের দশকে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। পারিবারিক টানাপোড়েন, সামাজিক অ্যাকশন, রোমান্টিক অ্যাকশন, ফোক ফ্যান্টাসিসহ সব ধরনের চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন সফল। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, গায়ক ও পরিচালক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে নায়ক আলমগীর সর্বশেষ 'একটি সিনেমার গল্প' সিনেমা নির্মাণ করেন। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন আলমগীর, সাদেক বাচ্চু, আরিফিন শুভ, ঋতুপর্ণা, সাবেরী আলমসহ আরও অনেকে। এই সিনেমাতেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার একজন সুরকার হিসেবে অভিষেক ঘটে। সুরকার হিসেবে অভিষেক হয়েই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হন।