সাক্ষাৎকার

এই মুহূর্তে সব ধরনের প্রোগ্রাম বাতিল হওয়াই স্বাভাবিক

কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। সারা বছর ব্যস্ত থাকেন গানে। কনসার্ট, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গান করেন নিয়মিত। চলতি মাসেও তার কয়েকটি কনসার্ট ছিল দেশের বাইরে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবে তা বাতিল হয়েছে। দেশজুড়ে করোনার প্রভাবে আর সবার মতো গৃহবন্দি হয়ে সময় কাটছে এই সংগীতশিল্পীর। কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি
করোনায় কনসার্ট বাতিল... করোনার কারণে আমার ৮-১০টি প্রোগ্রাম বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ১৩, ১৯ ও ২০ মার্চ ছিল রাজধানী ঢাকায়। দেশের বাইরেও কনসার্ট ছিল। ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় দুটি কনসার্ট ছিল। চলতি মাস এপ্রিলেও কানাডায় চারটি কনসার্টে হওয়ার কথা ছিল। আফসোস নেই... সরকার সব ধরনের প্রোগ্রাম বাতিল করেছেন। মুজিববর্ষ, ২৬ মার্চ, পহেলা বৈশাখের মতো বড় বড় প্রোগ্রামগুলোও বাতিল করেছেন। বিশ্বজুড়ে যে ভয়াবহ অবস্থা চলছে, এতে সবাই আতঙ্কিত। এই মুহূর্তে সব ধরনের প্রোগ্রাম বাতিল হওয়া স্বাভাবিক। শুধু আমারই নয়, সব শিল্পীদের ভালো ভালো প্রোগ্রাম বাতিল হয়েছে করোনার কারণে। আলস্নাহ বাঁচিয়ে রাখলে আবার সময় আসবে। জীবনের জন্য হুমকি করোনা... করোনা সর্বক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। অফিস-আদাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব কিছুই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শুধু আর্থিক সংকটই নয়, জীবনের জন্যও যথেষ্ট হুমকি এই ভাইরাস। এর প্রভাব কতদিন থাকবে তারও কোনো ঠিক নেই। এখন সবার উচিত, সচেতন হওয়া। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। কিন্তু সবাইকে বলব, যত কষ্টই হোক; সচেতন হোন। আলস্নাহ আমাদের এই বিপদ থেকে দ্রম্নত রক্ষা করুন- এটাই কামনা করছি। সঠিক সিদ্ধান্ত... আমাদের প্রধানমন্ত্রী সত্যিই একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি। করোনা মোকাবিলায় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও অসচেতন অনেকেই। সচেতনতাকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না কেউ কেউ। এতে করে নিজেও নিরাপদ নন, অন্যদেরও নিরাপদ রাখতে পারছেন না। সেসব একগুঁয়েমি- অসচেতন লোকদের জন্যই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। পরিবারে সময়... বাসা থেকে একদমই বের হচ্ছি না। স্বামী ও সন্তানদের সময় দিচ্ছি। পরিবারের কাজ নিজেই করছি। খাবারের আইটেমে খুব সাধারণ খাবার রাখছি। অনেক সচেতনতা অবলম্বন করছি। স্বামী-সন্তানদেরও সেইভাবে সতর্ক করছি। আমার স্বামী অফিস থেকে বাসায় ফিরে সঙ্গে সঙ্গে ওয়াশ রুমে যান। পোশাক পাল্টে গোসল করে ঘরে ঢুকেন।