সাক্ষাৎকার

সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করেই সচেতন হওয়া জরুরি

চঞ্চল চৌধুরী। টিভি ও চলচ্চিত্রের এ সময়ের অন্যতম দর্শকপ্রিয় অভিনেতা। করোনাভাইরাসের প্রকোপে শুটিং বন্ধ থাকায় বাসায় আছেন। সময় কাটছে টিভি দেখে ও ছেলের সঙ্গে গল্প করে। আর মিনিটে মিনিটে চোখ রাখছেন টিভি পর্দায়, সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চঞ্চল চৌধুরী
সময়কে নিজের মতো ব্যবহার করছি... অনাকাঙ্ক্ষিত এ অবসরে বাসায়ই থাকছি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, এটা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আর বাসায় থাকতেও কষ্ট হচ্ছে না। পরিবারকে সময় দিচ্ছি, গল্প করছি, ছেলের সঙ্গে খেলাধুলা করছি। টিভিতে বিভিন্ন খবর দেখছি। মাঝে মাঝে সিনেমাও দেখছি। সময়টাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছি। ঘরে থাকতে কষ্ট কিসের? নিজের ঘরে থাকতে কষ্ট কিসের? এ সময় বাইরে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রয়োজন থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। তবে কেউ যদি মনে করে একটু বাইরে গিয়ে আড্ডা দিয়ে আসি; তাহলেই বিপদ। খবরে দেখলাম এখনো কিছু অসচেতন মানুষ এসব করছে। এটা উচিত নয়। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সবার সচেতন হওয়া উচিত। গোটা বিশ্বকে এই ভাইরাস এক কথায় অচল করে রেখেছে। সেখানে আমাদের মতো দেশে এটি ছড়িয়ে পড়লে রেহাই নেই। এই বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। না হলে মুশকিল। আমি আক্রান্ত হলে আমারই সমস্যা হবে, এমন নয়। আমার আশপাশে যারা থাকবেন, তাদেরও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে একজন সচেতন হলেন, অন্যরা হলেন না; এতে কোনো লাভ হবে না। জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়বে... করোনাভাইরাস কেবল মানুষের জীবনের জন্য হুমকি নয়, এর ফলে সব খাতেই হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ করে আমাদের মতো গরিব দেশে অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের চাপ আসবে। আমি নাটকের মানুষ, নাটকের কথাই বলি। এখন নাটকের মৌসুম। ক'দিন বাদেই ঈদ নাটকের জোয়ার শুরু হবে। কিছু কিছু পরিচালক ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছিলেন। সব কাজই এখন বন্ধ আছে। কয়েক মাস কাজ না করে হয়তো আমার মতো অভিনয় শিল্পীরা বেঁচে থাকতে পারবেন। তবে স্বল্প আয়ের শিল্পীরা কি করবেন? প্রডাকশন বয়'সহ অন্য কলাকুশলীরা কি করবেন? এমনকি তিন-চারমাস কাজ না করলে আমার জন্যও জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। সবার সচেতন হওয়া জরুরি... অভিনয় শিল্পীসংঘ থেকে স্বল্প আয়ের শিল্পীদের জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। হয়তো সীমিত পরিসরে কিছুদিন এভাবে চালানো সম্ভব। পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক না হলে এ ধরনের সহযোগিতাও তো বেশিদিন করা যাবে না। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করেই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।