করোনা উপসর্গ নিয়ে সাবেক সাংসদসহ দুইজনের মৃত্যু

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কামরুন্নাহার পুতুল
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক কামরুন্নাহার পুতুল। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃতু্য হয়। বগুড়ার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামির হোসেন রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কামরুন্নাহার পুতুল বগুড়া-৭ আসনের প্রয়াত সাংসদ মোস্তাফিজার রহমানের সহধর্মিণী। সামির হোসেন জানান, ১০-১২ দিন আগে কামরুন্নাহার পুতুল ঢাকা থেকে বগুড়ার বাসায় ফেরেন। কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর, ডায়রিয়া ও খাবারের অরুচিসহ করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল?্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। শুক্রবার রিপোর্ট আসার কথা ছিল। তবে তার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। রাতে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সোয়া ১১টার দিকে তিনি মারা যান। কামরুন্নাহার পুতুল ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বগুড়া-জয়পুরহাট সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাংসদ ছিলেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব?্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে তিনি মহিলাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী মোস্তাফিজার রহমান ১৯৭৩ সালে বগুড়ার গাবতলী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও এক ব্যক্তির মৃতু্য হয়েছে। শুক্রবার সকালে চিকিৎসার জন্য তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসা তার মৃতু্য হয়। জানা গেছে, উপজেলার চকরহিমাপুর গ্রামের নিবারণ দেবনাথের পুত্র গোবিন্দগঞ্জ বাজারের ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী সুদর্শন দেবনাথ (৩৮) গত ১৫ মে থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের একটি মেডিকেল টিম গত ১৮ মে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে নমুনা সংগ্রহ করে বাড়িটিকে লকডাউন করে। শুক্রবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রম্নত তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে প্রশাসনের স্বাস্থ্যকর্মী ও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না। তবে তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।