ছুটি বাতিল, রোববার থেকে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ

খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দোকান খোলার সিদ্ধান্ত ১০-৪টা ব্যাংক লেনদেন ১৩ দফা নির্দেশনা

প্রকাশ | ২৯ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে রাজধানীর একটি সড়ক -ফাইল ছবি
শর্তসাপেক্ষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় খোলা থাকবে। এ সময়ে শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে। নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধই থাকছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে বুধবারই সরকারের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অফিস-আদালত খুলছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। এক মাস রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে গেল দুদিন আগে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটিও শেষ হচ্ছে তিন দিন পর, ৩০ মে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, সীমিত আকারে অফিস খুললেও আগামী ৩১ মে থেকে \হ১৫ জুন পর্যন্ত মানতে হবে বেশকিছু নির্দেশনা। এই সময়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রতিটি জেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে চেকপোস্ট ব্যবস্থা থাকবে। রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞার সময় মানুষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। হাটবাজার ও দোকানপাট এবং শপিংমল বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। কেনাবেচার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের কর্মীরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবেন। ওষুধ শিল্প, কৃষি, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো, উৎপাদন ও রপ্তানি শিল্পসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। অবশ্য গত ২৬ এপ্রিল থেকেই রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। যদিও এ সময়ে অনলাইন কোর্স বা দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা পূর্ণভাবে চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে। এ নিষেধাজ্ঞার সময় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলোতে সর্বসাধারণের নামাজ আদায় এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে। দোকান খোলার সিদ্ধান্ত : আগামী ৩১ মে (রোববার) থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেট, বিপণি বিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে চান তারা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অবহিত করা হয়েছে, ৩০ মের পর থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলা যাবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃতু্যর হার বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও মানুষের জীবিকার তাগিদে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই রমজান মাসে মার্কেট ও দোকান খোলা রেখে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ট্রেনিং সম্পন্ন করেছি। যদিও তা সত্ত্বেও শতভাগ দোকান মালিক, কর্মচারী ও ক্রেতাসাধারণকে মাস্ক পরানো সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শুধু মাস্ক ব্যবহার করলেই করোনা সংক্রমণ ৮০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আগের সময়েই ব্যাংক লেনদেন করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হচ্ছে। লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে করোনাভাইরাসের মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, কর্মকর্তা, সন্তানসম্ভবা গ্রাহক ও কর্মকর্তা ব্যাংকে যাওয়া যাবে না। কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্বে সীমিত যানবাহনে যাতায়াত করতে হবে। ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা থাকবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে আগের নিয়মে। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। অন্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য খোলা থাকবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। গ্রাহকের প্রয়োজনে নগদ-চেকের মাধ্যমে জমা-উত্তোলন, ডিডি, পে-অর্ডার ইসু্য, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, সরকারের সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় ভাতা-অনুদান বিতরণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, প্রণোদনাগুচ্ছের কার্যক্রম, যাবতীয় নিয়মাচার মেনে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম, গ্যাস, বিদু্যৎ বিল গ্রহণ, পেমেন্ট সিস্টেমের আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে এনআরবি বন্ড, বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্রের লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু : ১ জুন থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে (ডমেস্টিক) ফ্লাইট চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বৃহস্পতিবার বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচলের চিন্তা-ভাবনা চলছে। বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ডমেস্টিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। রাজশাহী, যশোর, বরিশাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া সপ্তাহখানেকের মধ্যে যদি এ চারটি বিমানবন্দর স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী ও ফ্লাইটের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেসব বন্দরকেও ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলবে : করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাস ধরে চলা লকডাউন আর না বাড়িয়ে আগামী ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহণগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, 'উক্ত সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারে। 'তবে সব অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।' স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ১৩ দফা নির্দেশনা ১. প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। ২. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ৩. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে। ৪. অফিসের পরিবহণগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক নূ্যনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে। ৫. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার (ওয়ান টাইম) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। ৬. যাত্রার আগে এবং যাত্রাকালে পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ৭. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (নূ্যনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে। ৮. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। ৯. অফিসগুলোতে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ১০. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে থাকতে হবে এবং সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘনঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে। ১১. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলছেন কি না, তা মনিটরিং করতে হবে। ডিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ১২. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ১৩. কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।