দেশে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৬৪

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮ জন মারা গেছে। একদিনে মৃতু্যর দিক দিয়ে এটাই এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬১০ জনে পৌঁছল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৭৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশে মোট ৪৪ হাজার ৬০৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ২৬ জন হাসপাতালে ও দুইজন বাসায় মারা গেছে বলে শুক্রবার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। আর এই ২৮ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছে ঢাকা শহরে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯,৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭.৬৬%। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ জন সুস্থ হয়েছেন, আর মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯,৩৭৫ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.০২%। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ২৫ জনই পুরুষ। আর এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬১০ জনের মধ্যে ৭৫ ভাগই পুরুষ। শনাক্ত হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রেও পুরুষের হার বেশি। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস রোগীর মধ্যে ৭১ শতাংশই পুরুষ। ২৯শে মে পর্যন্ত সংবলিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিন্যাস প্রকাশ করেন নাসিমা সুলতানা। সেই তথ্যে উঠে আসে যে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৭৩ ভাগের বয়সই ২১ থেকে ৫০-এর মধ্যে। তবে কোভিড-১৯-এ দেশে এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের প্রায় ৭০ ভাগের বয়সই পঞ্চাশের বেশি। গত কয়েকদিনে দেশে নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে দেশে গত কয়েকদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও সরকার সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আজ রোববার থেকে খুলছে সরকারি বেসরকারি অফিস। সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী বহন করার শর্তে চালু হচ্ছে গণপরিবহণও।