ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরীর আক্ষেপ

সুস্থ হয়েও আমি ফের অসুস্থ হয়ে যাব

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেছেন, 'আমার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে, তবে আমি সুস্থ হয়ে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ব।' সোমবার দুপুরে তিনি একথা বলেন। ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেন, 'শরীর উন্নতির দিকে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট কিছুটা আছে। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার স্ত্রী ও পুত্রও করোনায় আক্রান্ত। তারা বাসায় আছে, আমি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আছি। সকালে হালুয়া, রুটি, ডিম খেয়েছি।' তিনি আরও বলেন, 'আমি সুস্থ হয়ে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ব। কারণ যেভাবে লোক ঠকানো হচ্ছে। একটা ইনজেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা। আমাকে বলছে আপনারতো টাকা লাগবে না ইনজেকশন নিতে। আমি বলছি, ভালোইতো বাটপারি শুরু করেছ। আমাকে বিনা পয়সায় দেবা আর লোকজনের গলা কাটবা। জনগণ প্রতারণার শিকার হবে।' কোন কোম্পানির ইনজেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'অনেক কোম্পানি আছে। কয়টার আর নাম বলব। এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানো কার পক্ষে সম্ভব। ডা. জাফরুলস্নাহর পক্ষেই তো এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারবে? আমি যদি এত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান করা উচিত, এত টাকা কোথায় পাইলাম। আমি যদি ওই চিকিৎসা গ্রহণ করি, তাহলে আমার নামে দুদকের অনুসন্ধান করা উচিত। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত।' তাহলে কী করা উচিত এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ওই ওষুধতো দেখছি সোনার চেয়েও বেশি দাম। সরকার যদি ওষুধের মূল্য স্থির না করে তাহলে যখন কোনো ওষুধের নাম বলা হবে, তখনই তার দামও বলতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে ওষুধের দাম। তাহলে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠবে কেন এত টাকা দাম? এটা না করলে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাবে। বেঁচে থেকে তখন লাভ কী, টাকার অভাবে আমি যদি খাইতেই না পারি, আমার ছেলে-মেয়ে খাবার না পায়। ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে যাই। হাসপাতালে কী লাগে চিকিৎসা দিতে, অক্সিজেন লাগে। অক্সিজেনের দাম কত? এসব বিষয়ে গণমাধ্যম এবং জনসাধারণকে প্রশ্ন করা দরকার।'