খাবারের কারখানায় তৈরি হচ্ছে নকল স্যানিটাইজার

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় রেজা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি কারখানায় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করা হতো। কিন্তু করোনার সংকট কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফার আশায় কারখানাটিতে তৈরি করা হচ্ছিল নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মঙ্গলবার কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেনর্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব-৩) ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্ যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসুর নেতৃত্বে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার জব্দ করা হয়। পলাশ বসু জানান, রেজা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ফুডের ট্রেড লাইসেন্স আছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যে সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কোনো ধরনের অনুমতি বা অনুমোদন ছাড়া নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছিল। স্যানিটাইজারের বোতলগুলোতে লেখা হচ্ছে শতভাগ ভাইরাস প্রটেকশন, কিন্তু এটা কখনোই সম্ভব না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজ করে আসছিল। চাহিদা অনুযায়ী নকল স্যানিটাইজারগুলো সরবরাহ করে আসছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামের অমনিবাস নামে একটি কোম্পানিকে স্যানিটাইজার সরবরাহ করছিল। কোনো ধরনের চুক্তিপত্র ও ওই প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন যাচাই ছাড়াই তারা চট্টগ্রামে স্যানিটাইজার সরবরাহ করছে তারা। পলাশ বসু আরও বলেন, তাদের তৈরি করা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলে যে উপাদানগুলো উলেস্নখ আছে অর্থাৎ আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহল, তা বিন্দুমাত্র নেই। এগুলো সব ভেজাল ও নকল প্রোডাক্ট। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ লেবেলবিহীন পণ্য আছে। এসব অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংক্ষণ আইনে রেজা ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী রেজাউর রহমানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমান অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড এবং কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।