প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৬ দফা

অনলাইনেই সীমিত থাকবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০

ফয়সাল খান
আগামী ৭ জুন ছয় দফা দিবস এবং ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় জনসমাগম বা কোনো জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বড় দুটি দিবসে অনেকটাই ঘরোয়া আর অনলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকবে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা দলটির কর্মসূচি। দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে। নেতারা বলছেন, সারাবিশ্বে করোনা মহামারির কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় কোনো কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করা এবং ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীর কার্যালয়ে থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন। সূত্রমতে, আগামী ৭ ও ২৩ জুন কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিনিধির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করার কথা হয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে অনির্ধারিত এক বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা-বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মুঠোফোনে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আলাপ করেন তারা। করোনার কারণে এবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সীমিত পরিসরে করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মারাত্মক সংকট থেকে উত্তরণ এবং করোনা-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের করণীয় ও কর্মকৌশল সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যায়যায়দিনকে বলেন, এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ছয় দফা দিবস পালন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। বড় কোনো লোকসমাগম করা হবে না। কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে সকালে দলীয় পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে, আগামী ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসও সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দিনও অনলাইনভিত্তিক কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়েছে দলটি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনার আয়োজন করা হবে। এই আলোচনার আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনে গঠিত জাতীয় কমিটি। এখানেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা 'বাঙালির মুক্তির সনদ' বিষয়ে লেখা আহ্বান করা হয়েছে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশ্লেষণধর্মী এসব লেখা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে মতামত আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে লাইভ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালানো হবে বলে জানা গেছে।