স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই গণপরিবহণে

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে বাসে উঠছেন যাত্রীরা -যাযাদি
চালু হওয়ার চার দিনের মাথায়ই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই রাজধানীর গণপরিবহণে। ক'দিন স্বাস্থ্যবিধি বলতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলেও বৃহস্পতিবার (৪ জুন) থেকে সেটাও মানছে না অনেক গণপরিবহণ। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। গতকাল রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট ও এয়ারপোর্ট সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহণে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে যাত্রী তোলার কথা থাকলেও সেটা প্রথম দিন থেকেই মানেনি কোনো গণপরিবহণ। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও প্রতিদিন একাধিকবার জীবাণুনাশক স্প্রে করার কথা থাকলেও কোনোটাই এখন করা হচ্ছে না। এমনকি অনেক চালক ও যাত্রী মাস্কও ব্যবহার করছেন না। এই কদিন আসন ফাঁকা রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলেও বৃহস্পতিবার গণপরিবহণে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি আসনে বসে যাত্রী বহন করছে অনেক গণপরিবহণই। ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা বেড়েই চলছে। বাড়তি ভাড়া নিয়ে আসন ফাঁকা না রেখে যাত্রী বহন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। পলস্নবী, বিকল্প, সালসাবিল, আকিক, উইনারসহ বিভিন্ন গণপরিবহণ ঘুরে দেখা যায়, গাদাগাদি করে বসে যাচ্ছেন যাত্রীরা। নেই শারীরিক দূরত্ব। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে না। বাসের চালকের সহকারী দরজায় দাঁড়িয়ে গায়ে হাত দিয়ে যাত্রী তুলছে। নূর পরিবহণের সহকারী নোমান মিয়া বলেন, অনেক সময় যাত্রীরা উঠে পড়েন। তাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। বিকল্প পরিবহণের যাত্রী তানজিনা বলেন, 'আমরা বাড়তি ভাড়া ঠিকই দিচ্ছি, কিন্তু তারা গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছে। তাহলে কেন আমরা বাড়তি ভাড়া দেবো।' গাজীপুর পরিবহণের সহকারী সাইফ বলেন, গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মানা আসলেই কঠিন। নিয়ম হচ্ছে এক ট্রিপ দেওয়ার পর জীবাণুনাশক স্প্রে করা, কিন্তু সেটা করার সামর্থ্য কোনো গণপরিবহণেরই নেই। তাই ঝুঁকি তো আছেই। তুরাগ পরিবহণের যাত্রী সাফা বলেন, 'এতদিন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলেও এখন সেটাও মানছে না। এতে আমরা আরও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি।'