১৫ বছরে যায়যায়দিন

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঊষার আলো রং ছড়াল, আঁধার হলো বিলীন/আলোকছটায় জানান দিল আজ তোমার জন্মদিন/ভোরের পাখি উঠছে ডাকি, এলো রে আজ নতুন দিন/এই প্রহরে, খুশির লহরে আজ তোমার জন্মদিন/শুভ কামনা রইল আমার, দিনগুলো হোক রঙিন, দুঃখ কমুক, সুদিন আসুক শুভ হোক জন্মদিন। যায়যায়দিনের পঞ্চদশ জন্মদিন আজ। ২০০৬ সালের ৬ জুন সাপ্তাহিক যায়যায়দিন যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, নানা প্রতিকূলতা ঠেলে আজ তা পৌঁছে গেছে লাখো পাঠকের দ্বারে। অন্যায়, অসত্য, অকল্যাণ ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সেদিন শুরু হয়েছিল যে পথচলা- সে ধারায় আজও অটুট সময়ের সাহসী এ কণ্ঠস্বর। নিরপেক্ষতা আর ন্যায়বোধের আদর্শে অটল রবে আগামীর দিনগুলোতেও। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সগৌরবে রবে অবিচল। প্রচার সংখ্যায় যায়যায়দিন সর্বশীর্ষে এখনো পৌঁছতে না পারলেও খবরের গুণগত মান ও মর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে আছে সমসাময়িক অনেক পত্রিকার চেয়ে। যা সহযোগী সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য সব সময়ই ঈর্ষণীয় হয়ে আছে। সংবাদপত্র জগতে ধূমকেতুর মতো এসে যায়যায়দিনের বিজয় কেতন ওড়ানোর হিসাব কারও কারও কাছে রহস্যাবৃত হলেও বোদ্ধাজনদের কাছে তা খেরোখাতার সহজ-সরল যোগ-বিয়োগের মতো। কেননা নিরপেক্ষ এ পত্রিকাটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সবসময়ই ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ধারা মেনে স্বনামধন্য এ সংবাদ মাধ্যমটি কোনো দলের মুখপত্র হয়নি। জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে কখনই হয়নি শঙ্কিত। পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে যায়যায়দিনের প্রতিটি সদস্য সবসময় থেকেছে সর্বোচ্চ সচেষ্ট। যাত্রালগ্ন থেকেই পরিবর্তনের সহযোগী যায়যায়দিন। তাই স্বল্প সময়েই তা জনগণের কাগজ হয়ে উঠেছে। বাড়ির ছোট্ট শিশু থেকে গৃহিণী, কর্মজীবী নারী থেকে প্রবীণতম সদস্য সবার হৃদয়েই অনেকখানি জায়গা দখল করে নিয়েছে যায়যায়দিন। দৈনিক যায়যায়দিন ছাপা হয় সর্বাধুনিক নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেসে। দেশের সবচেয়ে আধুনিক, সুপরিসর অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে শুরু থেকেই। এ কারণে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে যায়যায়দিন। যায়যায়দিনের নিবিষ্ট পাঠকরা তাদের মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার পথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং উদ্দীপ্ত ও প্রাণিত করবেন। যায়যায়দিন সবসময়ই সত্যবাক, জনগণ ও জাতির কণ্ঠস্বর। যায়যায়দিন জাতির অগ্রগতি, উন্নয়ন স্পন্দন ও প্রগতির পথে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে যাবে। জন্মলগ্ন থেকে প্রতি বছর জন্মদিন উপলক্ষে মূল পত্রিকার সঙ্গে বহুপৃষ্ঠার বর্ষপূর্তি সংখ্যা, বর্ণাঢ্যর্ যালি, কেককাটা, গুণীজন সংবর্ধনাসহ নানা আয়োজন থাকে। কিন্তু এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে জন্মদিন উপলক্ষে আপাতত বাড়তি কোনো আয়োজন থাকছে না। নেই কোনো কর্মসূচিও।